সংক্রমণ কমায় দিল্লিতে বিধিনিষেধ শিথিল, খুলছে রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল

কোভিড সংক্রমণের হার খানিকটা কমে আসায় ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জারি করা সপ্তাহান্তের কারফিউ তুলে নিয়েছে সরকার, শর্তসাপেক্ষে খুলছে রেস্তোরাঁ, বাজার, বার ও সিনেমা হল।

>>রয়টার্স
Published : 28 Jan 2022, 10:49 AM
Updated : 28 Jan 2022, 10:49 AM

তবে রাতের বেলায় এখন কারফিউ থাকবে, পাশাপাশি স্কুলগুলোও বন্ধা থাকবে বলে জানিয়েছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজল।

রেস্তোরাঁ, বার এবং সিনেমা হলগুলোতে ধারণক্ষমতার অর্ধেক লোক বসানো যাবে। বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি সংখ্যা সীমাবদ্ধ রাখতে হবে ২০০ জনের মধ্যে।

দিল্লিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী অনিল বাইজল বলেন, শনাক্তের হার কমে আসায় পর্যায়ক্রমে বিধি-নিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তার অংশ হিসেবেই এ পদক্ষেপ।

সরকারি ‍হিসাবে গত ১৩ জানুয়ারি দিল্লিতে কোভিড শনাক্ত হয়েছিলেন ২৮ হাজার ৮৬৭ জন। বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ৪ হাজার ২৯১ জনে। শহরের হাসপাতালগুলোর ৮৫ শতাংশের বেশি শয্যা এখন খালি।

রাষ্ট্র পরিচালিত ডা. রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. দেশ দীপক বলেছেন, কোভিডের আগের ঢেউয়ের তুলনায় এখন হাসপাতালে ভর্তি হার অনেক কম।

“কোভিড আক্রান্ত যেসব রোগী মারা গেছেন, তাদের অধিকাংশের ক্যান্সার বা কিডনি জটিলতা ছিল। এ ছাড়া বেশিরভাগেরই পুরো ডোজ টিকা দেওয়া হয়নি।”

গত সপ্তাহে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে দিল্লি কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি অফিসগুলোকে আংশিক কর্মী নিয়ে অফিস চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। তবে যতটা সম্ভব কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করার পরামর্শ দেয় কর্তৃপক্ষ।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে ভারতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে যে শহরগুলো সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে, তার মধ্যে দিল্লি একটি।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় গত ৪ জানুয়ারি সেখানে সপ্তাহান্তে কারফিউ জারি কর্তৃপক্ষ। স্কুল এবং রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ​​ভাল্লা এক চিঠিতে বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

মন্ত্রীর বরাতে চিঠিতে বলা হয়, এটি একটি উদ্বেগের বিষয় যে ৩৪টি রাজ্য ও অঞ্চলের ৪০৭টি জেলায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশেরও বেশি ছিল।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে শুক্রবার ২ লাখ ৫১ হাজার ২০৯ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা আগের দিনের তুলনায় ১২ শতাংশ কম। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৬২৭ জনের।

দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ২১ লাখ, যা মোট আক্রান্তের ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।

এনডিটিভির প্রতিবেদনের বলা হয়, টানা পাঁচদিন পর গত মঙ্গলবার কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখের নিচে নামে।

দেশটিতে মহামারীর শুরুর এখন পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৬ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৩২৭ জন মারা গেছেন।

পুরনো খবর