বহুবছর পর ফের টাটার হাতে ফিরল এয়ার ইন্ডিয়া

দীর্ঘ প্রায় ৭০ বছর পর আবার টাটাদের হাতেই ফিরে এল এয়ার ইন্ডিয়া ৷ ভারত সরকার টাটা গ্রুপের কাছে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা হস্তান্তর করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2022, 02:05 PM
Updated : 27 Jan 2022, 02:05 PM

বৃহস্পতিবার সকালে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে টাটার হাতে তুলে দেওয়া হয় এয়ার ইন্ডিয়া৷

এর আগে গত বছর অক্টোবরে এয়ার ইন্ডিয়াকে ১৮ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে টাটা গোষ্ঠীর সাবসিডিয়ারি সংস্থা টালাস প্রাইভেট লিমিটেডকে বিক্রি করে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর থেকেই শুরু হয়েছিল বিক্রি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রক্রিয়া।

কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। পুরো শেয়ার তুলে দেওয়া হয়েছে টাটার হাতে। দেওয়া হয়েছে ম্যানজমেন্টের নিয়ন্ত্রণও। সংস্থার ১২ হাজার কর্মীকে বহাল রাখবে টাটা।

বিবিসি জানায়, ১৯৩২ সালে টাটা-র হাত ধরেই এয়ার ইন্ডিয়ার পথ চলা শুরু হয়েছিল। তখন এর নাম ছিল টাটা এয়ারলাইন্স। ১৯৪৬ সালে সেই সংস্থারই নাম বদলে হয় এয়ার ইন্ডিয়া।

১৯৫৩ সালে সংস্থাটি কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করে। ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছিলেন জেআরডি টাটা। মাঝে অনেক পথ পেরিয়ে আবারও টাটার ঘরেই ফিরল সেই সংস্থা।

প্রায় ৭০ হাজার কোটি রুপি লোকসান হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার। এই সংস্থার জন্য প্রত্যেকদিন সরকারের ক্ষতি হচ্ছিল ২০ কোটি রুপি করে। এর আগেও একবার এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বিপুল ঋণের বোঝা থাকায় কোনও সংস্থা উৎসাহ দেখাচ্ছিল না।

ফলে তখন সফল হয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। বছরের পর বছর লোকসানে চলা এয়ার ইন্ডিয়া কার্যত ঋণের ভারে জর্জরিত ছিল। এভাবে সংস্থা আর চালানো সম্ভব হচ্ছিল না সরকারের পক্ষে। তবে ঋণের বোঝা থাকার পরও এয়ার ইন্ডিয়াই ভারতের অন্যতম বৃহৎ বিমান সংস্থা।

টাটা ছাড়াও আরও এক বেসরকারি বিমান সংস্থা স্পাইস জেটের কর্ণধার এয়ার ইন্ডিয়ার শেয়ার কেনার জন্য দরপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু টাটাদের বিড সেই দরপত্রকে ছাপিয়ে যায়। তাই শেষ পর্যন্ত রতন টাটার দরপত্রেই ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র।

টাটা গ্রুপের হাতে বর্তমানে আছে দুটি এয়ারলাইন্স- এয়ার এশিয়া ও ভিস্তারা। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য দরদ আছে টাটার। তাই যে কোনও মূল্যেই টাটা মালিকানা পেতে চেয়েছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।