ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয়: ক্যান্সার আক্রান্ত ৬ জাপানির মামলা

ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনাকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করছেন থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত ৬ জাপানি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2022, 12:38 PM
Updated : 27 Jan 2022, 12:38 PM

২০১১ সালে সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার কারণেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ তাদের। ওই সময় এই ছয় জাপানির বয়স ছিল ৬ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।

ক্যান্সার থেকে বাঁচতে তাদের সবাইকে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে, কারও কারও থাইরয়েড গ্রন্থি ফেলে দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।

তবে বিবিসি-র খবরে বলা হয়েছে, ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয়তার কারণেই যে তারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন সেটি প্রমাণ করা সহজ হবে না।

ফুকুশিমা প্লান্টের অপারেটর টোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানির (টেপকো) বিরুদ্ধে ৫৪ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে এই মামলা করা হচ্ছে।

টেপকোর মুখপাত্র জানিয়েছেন, মামলার বিষয়টি তারা শুনেছেন। তবে এখনও অভিযোগের বিস্তারিত নথিপত্র তারা হাতে পাননি।

জাপানে ২০১১ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামির কারণে ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে বড় ধরনের পরমাণবিক বিপর্যয় ঘটেছিল।

১৯৮৬ সালে ইউক্রেইনে চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয়ের পর এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঘটনা। যদিও ফুকুশিমা কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয়তা খুব কমই ছড়িয়েছে এবং এ থেবে স্থানীয় মানুষের তেমন ক্ষতি হয়নি বলেই মনে করা হয়ে থাকে।

তবে ফুকুশিমা কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে বিতর্ক আছে। জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ প্যানেল গতবছর বলেছে, ফুকুশিমা বিপর্যয় মানুষের জন্য সরাসরি কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করেনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও ২০১৩ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিপর্যয়ের কারণে ওই অঞ্চলে ক্যান্সারের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে দেখা যায়নি। তবে ২০১৮ সালে জাপান সরকার ফুকুশিমা কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তার শিকার হয়ে এক কর্মীর মৃত্যুর খবর জানায় এবং তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত মত দেয়।

এখন ফুকুশিমা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে যারা মামলা করছেন, তারা বলছেন, তেজস্ক্রিয়তা থেকে ক্যান্সার হওয়া সম্ভব অভিযোগকারীদের বয়স এখন ১৭ থেকে ২৭ বছর। তাদের পরিবারের কারও থাইরয়েড ক্যান্সারের কোনও ইতিহাস নেই।