রাশিয়াকে কোনও ছাড় নয়: ইউক্রেইন

রাশিয়াকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের হুমকি নিয়ে উত্তেজনা প্রশমনের প্রচেষ্টায় ইউক্রেইনের ওপর ছাড় চাপিয়ে দেওয়ার কোনও সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2022, 02:33 PM
Updated : 26 Jan 2022, 02:33 PM

মঙ্গলবার সিএনএন- এর সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে দিমিত্রো একথা বলেন। তিনি জোর দিয়ে আরও বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্ত করতে কোনও আপোসের পথে হাঁটবে না তার দেশ।

“ইউক্রেইনের পিঠপিছে যদি কেউ ইউক্রেইন প্রশ্নে ছাড়ের কথা তোলে, তাহলে প্রথমত, আমরা তা মেনে নেব না। আমরা একটি দেশ হিসাবে এমন অবস্থানে থাকব না যে, কেবল ফোন উঠিয়ে বড়শক্তির কোনও দেশের নির্দেশনা ‍শুনব আর তা মান্য করব,” বলেন দিমিত্রো।

নিজেদের ভবিষ্যৎ, নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার সমুন্নত রাখতে ইউক্রেইনকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে জানিয়ে দিমিত্রো বলেন, আমাদের ১৫ হাজার নাগরিক জীবন দিয়েছে।

পরিকল্পনামাফিক কোনওরকম সামরিক হামলা চালানোর আগে রাশিয়া ইউক্রেইনকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে কিয়েভ সতর্ক করেছে। রাশিয়া এমন কোনও পরিকল্পনার থাকার কথা অস্বীকার করলেও পশ্চিমা দেশগুলো বারবারই মস্কোকে ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে কোনও আগ্রাসী পদক্ষেপ না নেওয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কয়েকবারই ইউক্রেইনে আগ্রাসনের ক্ষেত্রে রাশিয়া এমনকী দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। যদিও রাশিয়ার ছোটখাট কোনও আগ্রাসী পদক্ষেপের ক্ষেত্রে মারাত্মক কোনও পাল্টা জবাব নেটো জোটের পক্ষ থেকে না আসতে পারে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে তার কথায়।

তবে এরপরও ইউক্রেইনকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেননি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। বরং আস্থা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট বাইডেন ব্যক্তিগতভাবে ইউক্রেইনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি এই দেশটিকে জানেন এবং তিনি চান না রাশিয়া এটিকে ধ্বংস করে দিক।”

কিন্তু কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে স্টাফদের সরিয়ে নেওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় বেশি তাড়াহুড়ো হয়ে গেছে বলে সমালোচনা করেছেন দিমিত্রো।

তিনি বলেন, প্রতিটি দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার অধিকারকে তিনি সম্মান করেন। কিন্তু এভাবে তাড়াহুড়ো করে আগেভাগেই দূতাবাস থেকে কর্মী সরিয়ে নেওয়াটা আতঙ্ক ছড়ায়। আর তা ইউক্রেইনকে ভেতর থেকে অস্থিতিশীল করার পুতিনের লক্ষ্যেরও অনুকূলে যায়।