এর আগে যুক্তরাজ্য ইউক্রেইনকে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশটিতে ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্র সরবরাহ করেছে। গত ১৮ জানুয়ারি সেগুলো ইউক্রেইনে পৌঁছায়।
গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেইনের নিরাপত্তা খাতে ২০ কোটি ডলার সহায়তা প্রদানের অনুমোদন দেন। অনুমোদনের পর এই অস্ত্র ও গোলাবারুদের চালানটিই ইউক্রেইনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সামরিক সহায়তা।
কিয়েভে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে বলা হয়, অস্ত্র ও গোলাবারুদের এই চালানটি ইউক্রেনের আত্মরক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির অংশ।
দূতাবাস থেকে ফেইসবুকে এক পোস্টে লেখা হয়, ‘‘রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দেশটির (ইউক্রেইন) সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।”
ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সহায়তা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
এদিকে চলমান সংকট প্রশমনের চেষ্টায় শুক্রবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জেনেভায় বৈঠক করেছেন।
বৈঠকের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে এসে ব্লিনকেন এটিকে ‘খোলামেলা’ আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তার ওই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কিয়েভে পৌঁছায়।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেইনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়। দেশটি ইউক্রেইনে নতুন করে আগ্রাসন চালাতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে নেটো।
গত কয়েক মাসে ইউক্রেইন সীমানায় রাশিয়ার এক লাখেরও বেশি সেনা জড়ো হয়েছে। যা নিয়ে পূর্ব-পশ্চিমের উত্তেজনা বাড়ছে।
মস্কো অবশ্য বলছে, ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালানোর কোন পরিকল্পনা তাদের নেই।
তবে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে বেশকিছু দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর মধ্যে ইউক্রেইনকে নেটো জোটে যোগ দিতে না দেওয়ার দাবিও রয়েছে।
এছাড়া, নেটো যাতে সামরিক মহড়া না চালায় এবং পূর্ব ইউরোপে অস্ত্র সরবরাহ না করে সেটিরও লিখিত নিরাপত্তা চেয়েছে পুতিন।