করোনাভাইরাস মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে নিয়োগের কথা ভাবছে জোট সরকার৷
জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের শরিক দল এফডিপি’র সংসদীয় নেতা ক্রিস্টিয়ান ড্যুর বিজনেস ম্যাগাজিন ভির্টশাফ্টসভ-কে বলেন, “দক্ষ কর্মীর ঘাটতি এখন এতটাই মারাত্মক আকার ধারন করেছে যে, আমাদের অর্থনীতি নাটকীয়ভাবে নিম্নমুখী হচ্ছে।”
“আমরা কেবল আধুনিক অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করতে পারি… যত দ্রুত সম্ভব বিদেশ থেকে চার লাখ দক্ষ কর্মী নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আমাদের অর্জন করতে হব”, তিনি বলেন।
চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের স্যোশাল ডেমোক্রেটস, ড্যুর এর এফডিপি, এবং পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশুগুলো থেকে বিশেষভাবে দক্ষ কর্মী আনার জন্য পয়েন্ট সিস্টেম চালু করতে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে।
তাছাড়া, জার্মানিকে কাজ করার জন্য শ্রমিকদেরকে আকৃষ্ট করতে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি প্রতি ঘন্টায় ১২ ইউরোতে (১৩.৬০ ডলার) উন্নীত করার মতো বিষয়েও মতৈক্য হয়েছে।
‘জার্মান ইকোনমিক ইনস্টিটিউট’ এর অনুমান, এ বছরই ৩ লাখের বেশি শ্রমিক ঘাটতি দেখা দিতে পারে। শ্রমবাজারে তরুণদের প্রবেশের চেয়ে বয়স্ক কর্মীরা বেশি অবসর নেওয়ায় এ ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।
ফলে ২০২৯ সালে এই ফারাকটা গিয়ে দাঁড়াতে পারে ছয় লাখ ৫০ হাজারে ৷ ২০৩০ সালে প্রায় ৫০ লাখের মতো কর্মক্ষম বয়সের মানুষের ঘাটতি রয়ে যাবে৷ মহামারীর মধ্যেও ২০২১ সালে জার্মানিতে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ কর্মরত ছিল৷