বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তারা এমনটি জানালেও যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী তা অস্বীকার করে বলেছে, ওই জাহাজটিকে সতর্ক করা হয়নি।
পিপলস লিবারেশন আর্মির দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ড বলেছে, ইউএসএস বেনফোল্ড "অবৈধভাবে" চীনের আঞ্চলিক জলসীমায় অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করে চীনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করার পর চীনের নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী জাহাজটিকে অনুসরণ করেছে।
“আমরা আন্তরিকভাবে দাবি করছি যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ এ ধরনের উস্কানিমূলক পদক্ষেপ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করবে, অন্যথায় তারা অপরিণামদর্শী ঘটনার গুরুতর পরিণতি বহন করবে,” এক বিবৃতিতে বলেছে তারা।
বেনফোল্ডকে সতর্ক করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী কিন্তু জাহাজটি ওই এলাকায় ছিল বলে নিশ্চিত করেছে।
জবাবে মার্কিন নৌবাহিনী বলছে, বেনফোল্ড আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অঞ্চলে নৌচলাচলের অধিকার এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। তাদের এই মিশনে জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতার রক্ষার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের মুখপাত্র মার্ক ল্যাংফোর্ড বলেন, “এই মিশনের বিষয়ে পিআরসির (পিপলস রিপাবলিক অব চায়না) বিবৃতিটি মিথ্যা।”
সপ্তম নৌবহর প্রশান্ত মহাসাগরে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী সমৃদ্ধ যুদ্ধজাহাজের একটি বহর।
‘আন্তর্জাতিক আইন মেনেই বেনফোল্ড ওই এলাকায় চলাচল করেছে’ বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর চীনের মালিকা দাবিকে চ্যালেঞ্জ করে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী প্রায়ই এ ধরনের মিশন পরিচালনা করে।
দক্ষিণ চীন সাগরের একটি বড় অংশের মালিকানার দাবিতে অনড় রয়েছে চীন। ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামও এ জলসীমার মালিকানার দাবি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বেইজিংয়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে।
চীন ওই জলসীমায় কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সেগুলো তাদের সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বিরোধের একটি বড় কারণ দক্ষিণ চীন সাগর। বেইজিং বেআইনিভাবে এই জলসীমার দখল নিতে চায় বলে অভিযোগ ওয়াশিংটনের।