টোঙ্গার বিমানবন্দর প্রস্তুত, নামবে ত্রাণবাহী বিমান

টোঙ্গার প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়ে ঢেকে রাখা আগ্নেয় ছাই পরিষ্কার করা হয়েছে, শিগগিরই অতিজরুরি ত্রাণ নিয়ে নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিমান সেখানে অবতরণ করবে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2022, 04:39 AM
Updated : 20 Jan 2022, 04:39 AM

জরুরি ত্রাণ নিয়ে নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার জাহাজগুলোরও দুর্যোগ কবলিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশটিতে পৌঁছানোর কথা বলে জানিয়েছে বিবিসি।

কয়েকশত কর্মী রানওয়জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আগ্নেয় ছাইয়ের ঘন স্তর পরিষ্কার করার পর বিমানবন্দরটিতে ফ্লাইট নামার সুযোগ তৈরি হয়।

শনিবার দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের জলমগ্ন একটি অগ্নেয়গিরিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মধ্যদিয়ে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে সুনামি সৃষ্টি হয়। সুনামির প্রবল ঢেউয়ে নিকটবর্তী টোঙ্গায় অন্তত তিন জন নিহত হয় ও যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

আগ্নেয়গিরির উৎক্ষিপ্ত ছাইয়ে টোঙ্গার দ্বীপগুলো ঢাকা পড়ে। বিষাক্ত ছাইয়ের কারণে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয় এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দুষণের শিকার হয়। 

বুধবার রাজধানী নুকু’য়ালোফার বিমানবন্দর থেকে ছাই সরানোর কাজ শেষ হয়েছে। দেশটির উদ্ধারকারী দলগুলো ও স্বেচ্ছাসেবকরা বিমানবন্দরটির টারমাক পরিষ্কার করতে প্রাণান্ত পরিশ্রম করেছে। 

নিউ জিল্যান্ড জানিয়েছে, তাদের প্রথম বিমানগুলো ও জাহাজগুলো বৃহস্পতিবার দেশটিতে পৌঁছবে।

স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় একটি সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানের টোঙ্গায় নামার কথা আছে। এই বিমানটিতে পানির কন্টেইনার, অস্থায়ী আশ্রয়ের উপকরণ, বৈদ্যুতিক জেনারেটর, পরিচ্ছন্নতা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং যোগাযোগ উপকরণ আছে।   

অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের ত্রাণবাহী বিমানগুলো এদিন আরও পরে টোঙ্গায় নামবে। এসব বিমানও বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও যোগাযোগ উপকরণ নিয়ে যাচ্ছে। 

করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি এড়াতে প্রায় সংস্পর্শবিহীনভাবে ত্রাণ ফেলার অনুরোধ করেছে টোঙ্গার কর্তৃপক্ষ। মহামারীর পুরো সময়জুড়ে দ্বীপদেশটি মাত্র একজন কোভিড রোগী দেখেছে।

সরবরাহ সংস্পর্শবিহীন হবে বলে নিশ্চিত করেছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিনি হেনার।

“আশা করা হচ্ছে সেখানে দেড় ঘণ্টার মতো থেকে বিমানটি নিউ জিল্যান্ডে চলে আসবে,” বলেছেন তিনি।

ত্রাণবাহী অন্যান্য জাহাজ পৌঁছানোর আগে বৃহস্পতিবার নিউ জিল্যান্ড নৌবাহিনীর একটি জাহাজের টোঙ্গায় পৌঁছানোর কথা আছে। এইচএমএনজেডএস ওয়েলিংটন নামের এই জাহাজটি টোঙ্গার বন্দরে পৌঁছানোর শিপিং চ্যানেল ও জেটি ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে দেখবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে হেনার বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, জাহাজগুলোতে করে আড়াই লাখ লিটারেরও বেশি পানীয় জল ও পানি বিশুদ্ধকরণ উপকরণ পাঠানো হচ্ছে। এসব উপকরণ দিয়ে সাগরের পানি থেকে লবণ পৃথক করা যাবে।

“টোঙ্গা সরকারের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনের কথাই সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে,” বলেছেন তিনি।