বিবিসি জানায়, সংখ্যালঘু উইঘুরদের উপর চীন সরকারের নিপীড়নের অভিযোগে দেশটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তাতে জো বাইডেন রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবেন কিনা- বেতারে এ বিষয়ক একটি আলোচনা চলাকালে পালিয়াপিটিয়া উইঘুরদের নিয়ে নেতিবাচক ওই মন্তব্য করেন।
তার মন্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। পরে পালিয়াপিটিয়া স্বীকার করেন, তিনি (উইঘুরদের নিয়ে) যে মন্তব্য করেছেন তাতে ‘সহানুভূতির অভাব ছিল’।
নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে টুইটারে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হওয়া উচিত। “আমি বিশ্বাস করি মানবাধিকারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ; সেটা চীন, যুক্তরাষ্ট্র বা যেখানেই হোক না কেনো।”
উইঘুরদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগে আছেন এমন অনেকেই পালিয়াপিটিয়ার এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
টুইটারে মানবাধিকার আইনজীবী রিহান আসাত বলেন, ‘‘যখন কেউ ক্ষমা চায়, তখন দ্বিতীয় সুযোগ তার প্রাপ্য। কিন্তু আমার মতে চামাথ যা বলেছেন, সেটাকে আমি ক্ষমা প্রার্থনা হিসাবে দেখছি না। কারণ, তার মন্তব্য উইঘুর সম্প্রদায়ের জন্য কতটা বেদনাদায়ক সেই বোধও তার নেই।”
“চীন যখন জানতে পারবে কর্পোরেট নির্বাহীরা তাদের পেছনে আছে তখন তারা (উইঘুরদের উপর) গণহত্যা চালিয়ে যাবে।”
চীন সরকারের বিরুদ্ধে দেশটির শিনজিয়ান প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের উপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও চীন সরকার বরাবার সে অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
ওদিকে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি নতুন আইনে সই করেন। ওই আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে প্রমাণ দিতে হবে, তারা যেখান থেকে পণ্য আমদানি করছে সেখানে কাউকে ‘শ্রম দিতে বাধ্য করা হয় না’।