ইউক্রেইন সফরে ব্লিনকেন, শিগগিরই নতুন রুশ হামলা নিয়ে সতর্কবার্তা

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন তার দীর্ঘ ইউরোপ সফরের শুরুতেই ইউক্রেইনে পৌঁছেছেন। ইউক্রেইন নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনের কূটনৈতিক চেষ্টায় ব্লিনকেন এ সফর করছেন।

>>রয়টার্স
Published : 19 Jan 2022, 03:37 PM
Updated : 19 Jan 2022, 03:37 PM

বুধবার এই সফরকালে রাশিয়া শান্তির পথে থাকবে বলে ব্লিনকেন আশা প্রকাশ করেছেন। আবার একইসঙ্গে সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন,রাশিয়া শিগগিরই নতুন করে ইউক্রেইনে হামলা চালাতে পারে।

ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভে প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে ব্লিনকেনের। পরে জার্মানির বার্লিনে তিনি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মান প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‍আলোচনায় বসবেন।

এরপর শুক্রবার ব্লিনকেন জেনেভায় যাবেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করতে।

কিয়েভ সফরকালে সেখানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্লিনকেন বলেছেন, ল্যাভরভের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় রাশিয়া কূটনৈতিক এবং শান্তির পথে অটল থাকবে বলেই তিনি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। তবে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই হামলা চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন।

ব্লিনকেন আরও বলেন, “আপনারা ভাল করেই জানেন, গত কয়েকমাস ধরে আমরা ইউক্রেইনের দিকে গভীর মনোনিবেশ করেছি। কারণ, আমরা সেখানে ইউক্রেইন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সেনা মোতায়েন দেখেছি। কোনও ধরনের উস্কানি, কোনও কারণ ছাড়াই সেখানে রুশ সেনা সমাবেশ হচ্ছে।”

“আমরা জানি, ওই সামরিক শক্তি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। আর শক্তি বাড়ানো হলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও শিগগিরই ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে নতুন করে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর সক্ষমতা পেয়ে যাবেন,” বলেন তিনি।

ইউক্রেইন সীমান্তে কিছুদিন আগেই রাশিয়ার হাজারো সেনা মোতায়েন নিয়ে কিয়েভ ও এর মিত্রদেশগুলো শঙ্কিত হয়ে উঠেছিল। ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে নতুন সামরিক অভিযান চালাতেই মস্কো একাজ করেছে বলে সংশয় প্রকাশ করেছিল তারা।

এই শঙ্কার মধ্যেই রাশিয়া এ সপ্তাহে বেলারুশে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে। আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় যৌথ সামরিক মহড়ার জন্যই এই সেনা সমাবেশ বলে জানিয়েছে বেলারুশ। তবে এগুলোর কোনওটিই ইউক্রেইনে হামলা চালানোর জন্য করা হচ্ছে না বা এমন কোনও পরিকল্পনাও নেই বলে রাশিয়া দাবি করেছে।

কিন্তু নেটো জোটে ইউক্রেইনের যোগদান আটকানোসহ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেতে রাশিয়া ওয়াশিংটনের ওপর চাপও সৃষ্টি করেছে।