বিবিসি জানায়, ব্রিটিশ নাগরিক মালিক ফয়সাল আকরাম ল্যাঙ্কাশায়ারের ব্ল্যাকবার্নে বসবাস করতেন। ২০২০ সালের শেষ দিকে এমআইফাইভ তাকে নিয়ে তদন্ত করছিল। কিন্তু ওই সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে যান এবং ধরে নেওয়া হয়েছিল, তাকে নিয়ে আর ঝুঁকি নেই।
গত ১৫ জানুয়ারি ডালাসের কোলিভিলে একটি সিনাগগে প্রার্থনা চলার সময় আকরাম চার ব্যক্তিকে জিম্মি করেন। ১০ ঘণ্টার জিম্মি নাটকের পর জিম্মিরা অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন। আর সিনাগগের ভেতর জিম্মিকারীর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
৪৪ বছরের আকরাম পুলিশের গুলিতে নিহত হন। বিবিসি জানায়, ২০২০ সালের শেষ ভাগে সন্দেহভাজন হিসেবে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে ছিলেন আকরাম। যুক্তরাজ্যে তার অপরাধের রেকর্ডও আছে।
কিন্তু তারপরও ২০২১ সালে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার সক্রিয় তালিকা থেকে আকরামকে সরিয়ে দিয়ে তার নাম সাবেক সন্দেহভাজনের তালিকায় নেওয়া হয়। তারা আকরামকে ভবিষ্যৎ হুমকি বলে বিবেচনা করেনি।
সিনাগগে হামলার ওই ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ঘটনা নিয়ে ইংল্যান্ডে তদন্ত চলছে এবং জড়িত সন্দেহে দুই কিশোরকে পুলিশ আটক করেছে। কিন্তু তাদের বয়স বা লিঙ্গ প্রকাশ করা হয়নি।
পুলিশের বরাত দিয়ে সিবিএস জানায়, আকরাম নিজেকে গৃহহীন পরিচয় দিয়ে ওই সিনাগগে প্রবেশ করেন।