সোমবার ম্যানিলায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস এবং স্থানীয় একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল ফোরামে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরে একথা বলেন।
তিনি বলেন, “কেবল একপক্ষের দাবির ওপর জোর দেওয়া এবং এক জনের ইচ্ছা অন্য জনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া প্রতিবেশীদের একে অপরের সঙ্গে আচরণের সঠিক উপায় নয়।”
দক্ষিণ চীন সাগরে একটি সামরিক সরবরাহ জাহাজ আটকে দেওয়া নিয়ে ফিলিপিন্স চীনের নিন্দায় সরব হওয়ার দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করলেন।
জাহাজ আটকের ঘটনার পর ফিলিপিন্সের মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্রও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, ফিলিপিন্সের জাহাজের ওপর কোনও হামলা হলে তারা পারস্পরিক প্রতিরক্ষার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের একচ্ছত্র মালিকানা দাবি নিয়ে ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। ওই অঞ্চলের বিভিন্ন দ্বীপে নিজেদের স্বার্বভৌমত্ব এবং প্রাকৃতিক সম্পদ দাবি করে আসছে এই দেশগুলোও।
পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, চীন ওই অঞ্চলে আগ্রাসন চালাচ্ছে এবং শত শত কোস্ট গার্ড মোতায়েন করে প্রতিবেশদের উস্কানি দিচ্ছে। তবে চীন বলে আসছে, তাদের দাবি ন্যায়সঙ্গত।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, “ফিলিপিন্স এই বিরোধ সদিচ্ছা এবং বাস্তববাদের আলোকে সঠিকভাবে নিরসন করতে পারবে বলেই চীন আশা করে।”