রোববার অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল আদালতের ৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দেয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আপিল খারিজ হওয়ায় সার্বিয়ান টেনিস তারকাকে এখন অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হবে। এর অর্থ তিনি এ বছর আর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে পারছেন না।
টুর্নামেন্টটি জিততে পারলে পুরুষ টেনিসের ইতিহাসে ২১টি বড় শিরোপা জিতে খেলাটির সবচেয়ে সফল তারকায় পরিণত হতেন তিনি।
আদালতের সিদ্ধান্তে ‘হতাশ’ জোকোভিচ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমার ভিসা বাতিলের বিষয়ে মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত পর্যালোচনায় যে আবেদন আমি করেছিলাম, আদালত তা খারিজ করে দেওয়ায় আমি সত্যিই হতাশ। এর অর্থ হচ্ছে, আমি অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে পারছি না, এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে পারছি না।
“আমি আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং এই দেশ থেকে আমার চলে যাওয়ার ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করব,” বলেছেন তিনি।
গত ৬ জানুয়ারি জোকোভিচ মেলবোর্নের টুলামারিন বিমানবন্দরে নামার পর তাকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা বসিয়ে রেখে অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, টিকার শর্ত শিথিলের কোনো প্রমাণ জোকোভিচ দেখাতে পারেননি, সুতরাং ভিসা বাতিল করে তাকে ফেরত পাঠানো হবে।
পরে বিমানবন্দর থেকে জোকেভিচকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি হোটেলে রাখা হয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের হেফাজতে। ফেরত পাঠানো এড়াতে অস্ট্রেলিয়ার আদালতের দ্বারস্থ হন জোকোভিচ।
তার প্রেক্ষিতে ১০ জানুয়ারি পান মুক্তি। পরে নির্বাহী ক্ষমতাবলে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী অ্যালেক্স হক ফের জকোভিচের ভিসা বাতিল করে দেন। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও আপিল করেন এ তারকা খেলোয়াড়।
রোববার ওই আপিলের শুনানি শেষে দেওয়া রায়ে তিন বিচারক সর্বসম্মতিক্রমে আপিলটি খারিজে মত দেন। কোন যুক্তিতে এই রায়, তা পরে জানানো হবে বলেও জানান তারা।
ভিসা বাতিল হওয়া জোকোভিচের ওপর আগামী তিন বছর অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার জটিল বিচার ব্যবস্থার কারণে ফেডারেল আদালতের বিচারকদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফের আবেদন করা খুবই কষ্টসাধ্য বলে জানিয়েছে ফ্রান্সভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থা। যে কারণে জোকোভিচকে বহিঃসমর্পণের মুখেই পড়তে হবে। তবে অস্ট্রেলিয়ার সরকার কখন তাকে দেশটি থেকে বের করে দিতে পারে সে বিষয়ে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।