ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মে মাসের পর এটাই একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর হারও এক দিনের ব্যবধানে সাড়ে ১১ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের দাপটে গতবছর মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ভারতকে। এর মধ্যে ৭ মে রেকর্ড ৪ লাখ ১৪ হাজার রোগী শনাক্ত হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে ওমিক্রন ধরনটি শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৪৮৮ জনের মধ্যে। বর্তমানে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ১৭ হাজার ৫৩১ জন, যা মোট সংক্রমিতের ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ।
গত এক দিনে আরও ৩৮০ জনের মৃত্যু হওয়ায় মহামারীতে ভারতে মৃত্যুর মোট সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫ জনে পৌঁছাল।
বৃহস্পতিবার কেবল মহারাষ্ট্রে ৪৭ হাজার ৭২৩ জন এবং দিল্লিতে ২৭ হাজার ৫৬১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। কেরালায় তিন মাসের মধ্যে প্রথমবার দেনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ হাজারের ঘর অতিক্রম করেছে। তবে সেখানে আক্রান্তদের বেশিরভাগই ডেল্টার সংক্রমণের শিকার বলে জানিয়েছেন কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ভারত ফ্রান্টলাইনার ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা শ্রেণিকে কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। তবে ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক প্রায় দেড় কোটি মানুষ এখনও টিকা পায়নি বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ওমিক্রনের কারণে গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি ডেল্টার চেয়ে কম হলেও বিশেষজ্ঞরা বরাবরই বলে আসছেন টিকাহীনদের জন্য এ ধরনটি এখনও বিপদজনক, বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য, যাদের অন্যান্য প্রাণঘাতি রোগ রয়েছে।