লকডাউনের মধ্যে পার্টি: জনসনকে পদত্যাগের আহ্বান

লকডাউন চলাকালে মদপানের পার্টিতে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরিস জনসনকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন তার নিজ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2022, 04:59 AM
Updated : 13 Jan 2022, 05:03 AM

২০২০ সালে ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন জনসন আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনগণের মধ্যে যে ‘ক্ষোভ’ তৈরি হয়েছে তা তিনি বুঝতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।   

জনসনের দাবি, তিনি তখন মনে করেছিলেন ওই পার্টি অফিসের কাজেরই একটি অনুষ্ঠান। তারপরও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমনসে আইনপ্রণেতাদেরকে জনসন বলেছেন, “আমি আমার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাই।”

এ ঘটনায় রাজনীতিবিদদের তীব্র সমালোচনার শিকার হচ্ছেন জনসন।তিনি মহামারীকালের বিধিনিষেধকে তাচ্ছিল্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার পদত্যাগও দাবি করছেন অনেকেই।

এ পরিস্থিতিতে উপপ্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাবসহ ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার সদস্যরা জনসনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, কিন্তু ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের স্কটিশ নেতা ডগলাস রস এবং দলটির এমপি উইলিয়াম র‌্যাগ, ক্যারোলাইন নোকস ও রজার গেল তাকে পদ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

রস একই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট এমপি ও স্কটিশ পার্লামেন্টের এমএসপি, তিনি জানিয়েছেন, বুধবার সকালে হাউস অব কমনসে জনসন ক্ষমা চাওয়ার পর এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ‘কঠিন কথোপকথন’ হয়েছে। 

রস জানান, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার অনাস্থা জানাতে তিনি ১৯২২ কমিটির কাছে লিখবেন; এই কমিটি ব্রিটিশ রক্ষণশীল দলের নেতৃত্ব প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

“তিনি প্রধানমন্ত্রী, তার সরকারই বিধিনিষেধগুলো জারি করেছিল, তাকে তার কর্মের জন্য জবাবদিহি করতে হবে,” বলেন তিনি।

সরকারি পদে নেই এমন পেছনের সারির ৫৪ জন রক্ষণশীল এমপি যদি ১৯২২ কমিটির কাছে চিঠি পাঠায় তাহলে রক্ষণশীল দলের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।  

ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টিতে কোভিড বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করা হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছেন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা সু গ্রে। এই তদন্তের ফলাফল শিগগিরই প্রকাশ হবে আর ওই পর্যন্ত এমপিদের অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

কিন্তু আরেক পেছনের সারির এমপি প্রভাবশালী সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান উইলিয়াম র‌্যাগ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান ‘অসমর্থনযোগ্য’।

বিবিসি রেডিওকে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর, যিনি দেশ শাসন করেন তার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ভার একজন সরকারি কর্মচারির তদন্তের ফলাফলের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মনে করি না আমি।”  

একই দলের আরেক এমপি এবং কমনসের আরেকটি কমিটির প্রধান ক্যারোলাইন নোকস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর এখনই পদত্যাগ করা উচিত কারণ তিনি ‘পুরো রক্ষণশীল ব্রান্ডটিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছেন’।

প্রধান বিরোধীদল লেবারের নেতা স্যার কেয়র স্টারমারও জনসনের প্রতি পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন।

এসএনপির নেতা ইয়ান ব্ল্যাকফোর্ড প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের বাধ্য করতে রক্ষণশীল দলের এমপিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জনসনকে ‘যেতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন লিব ডেম নেতা স্যার এড ডেভি।

আরও পড়ুন: