রোববার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যম এবং দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে। বৃহত্তম শহর আলমাতিতেই ১০৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তাছাড়া, আটককৃতদের মধ্যে ‘উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদেশি নাগরিক’ রয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, আলমাতিতে তারা শৃঙ্খলা ফেরাতে দাঙ্গাকারীদের হত্যা করেছে এবং বিক্ষোভকারীরা নগরীর একটি পুলিশ স্টেশন দখলেরও চেষ্টা চালিয়েছিল।
ওদিকে, কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ বলছেন, ২০ হাজার দস্যু আলমাতিতে হামলা করেছিল এবং তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে কোনও সতর্কীকরণ ছাড়াই তাদের ওপর গুলি ছোড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বিবিসি জানায়, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কাজাখস্তানে ২ জানুয়ারী থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে পরে রাজনৈতিক নানা অসন্তোষ যোগ হয়ে তা বড় ধরনের দাঙ্গায় রূপ নিয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
‘দস্যু-সন্ত্রাসীরাই’ এই বিক্ষোভ-সংঘর্ষ,অস্থিরতার হোতা বলে অভিযোগ প্রেসিডেন্টের। কাজাখ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এর আগে জানিয়েছিল, চলমান অস্থিরতায় ২৬ জন ‘সশস্ত্র অপরাধী’ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ১৮ জন সদস্য নিহত হয়েছে।
দেশকে স্থিতিশীল করতে প্রেসিডেন্ট সিএসটিও-র সহায়তা চেয়েছিলেন।সামরিক জোট সিএসটিও-তে রাশিয়া এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ৫টি দেশ আছে। রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) প্রায় ২,৫০০ সেনা গত সপ্তাহে কাজাখস্তানে পৌঁছেছেও।
প্রেসিডেন্টের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। সেনারা শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং কৌশলগত স্থাপনাগুলো পাহারায় রেখেছে। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা এবং রাত্রিকালীন কারফিউও জারি আছে।