কাজাখস্তানে রুশ সেনা নিয়ে ব্লিনকেনের খোঁচার কড়া জবাব মস্কোর

কাজাখস্তানে রাশিয়ার সৈন্যের উপস্থিতি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের খোঁচার কড়া জবাব দিয়েছে মস্কো।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2022, 11:27 AM
Updated : 9 Jan 2022, 11:27 AM

রুশ বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পেতে কাজাখস্তানকে হয়তো কঠিন সময় পার করা লাগতে পারে, ব্লিনকেনের এমন মন্তব্যের জবাবে শনিবার রাশিয়া বলেছে, কাজাখস্তান নিয়ে না ভেবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিত বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ নিয়ে ভাবা।

মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে কয়েকদিনের সহিংস অস্থিরতার পর সেখানে রুশ সেনা মোতায়েনের বৈধতা নিয়ে ব্লিনকেন প্রশ্ন তোলার পর মস্কো এ প্রতিক্রিয়া দেখাল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

“সাম্প্রতিক ইতিহাসের একটি শিক্ষা হচ্ছে রাশিয়ানরা যখন আপনার ঘরে যায়, তখন কখনো কখনো তাদেরকে বিদায় করা মুশকিল হয়ে পড়ে,” শুক্রবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমনটাই বলেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তার এ মন্তব্যকে ‘আপত্তিকর’ অ্যাখ্যা দেয় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কাজাখস্তানের বেদনাদায়ক পরিস্থিতি নিয়ে ব্লিনকেন ‘মজা করছেন’ বলেও অভিযোগ করে তারা।

ব্লিনকেনের মন্তব্যে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, ওয়াশিংটনের উচিত ভিয়েতনাম ও ইরাকের মতো দেশে নিজেদের হস্তক্ষেপের ‘ট্র্যাক রেকর্ড’ খতিয়ে দেখা।

“অ্যান্টনি ব্লিনকেন যদি ইতিহাসের শিক্ষা এতই পছন্দ করেন, তাহলে পরের এই কথাগুলো তার বিবেচনায় নেওয়া উচিত: আমেরিকানরা যখন আপনার ঘরে যায়, তখন বেঁচে থাকা এবং লুট বা ধর্ষিত না হওয়া খুব মুশকিল,” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে নিজেদের অ্যাকাউন্টে এমনটাই বলেছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

“কেবল সাম্প্রতিক অতীতই নয়, মার্কিনিদের রাষ্ট্র পাওয়ার ৩০০ বছর আমাদের এই শিখিয়েছে,” বলেছে তারা।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) কাছে কাজাখস্তানের চাওয়া সাহায্যের প্রেক্ষিতেই তারা দেশটিতে সেনা পাঠিয়েছে।

সিএসটিও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশের জোট, যাতে রাশিয়াও আছে।

রয়টার্স লিখেছে, এমন এক সময়ে রাশিয়াকে কাজাখস্তানে সৈন্য পাঠাতে হল যখন মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্কের উত্তেজনা চরমে।

সোমবার থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ইউক্রেইন নিয়ে আলোচনাও শুরু হতে যাচ্ছে।

রাশিয়া সম্প্রতি ইউক্রেইন সীমান্তে বিপুল সৈন্য এনে জড়ো করেছে। কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর দাবি, আগ্রাসন চালানোর লক্ষ্যেই রাশিয়ার এ সৈন্য উপস্থিতি।

অন্যদিকে মস্কো বলছে, ইউক্রেইনে হামলার কোনো পরিকল্পনাই তাদের নেই।  নিজেদের ভূখণ্ডের ভেতর যত ইচ্ছা সৈন্য সমাবেশের অধিকারও রাশিয়ার আছে, ভাষ্য তাদের।