জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে চীন

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ‘জরুরি বৈঠকের’ জন্য বেইজিংয়ে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। তাইওয়ান নিয়ে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মন্তব্যর পরই চীন এ পদক্ষেপ নিল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2021, 10:51 AM
Updated : 2 Dec 2021, 10:51 AM

চীন তাইওয়ানে আক্রমণ করে বসলে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা জাপান দাঁড়িয়ে থাকবে না বলে বুধবার মন্তব্য করেছিলেন শিনজো আবে।

আবের এই মন্তব্য ‘ভুল’ এবং ‘চীন ও জাপানের মধ্যকার সম্পর্কের মৌলিক নীতি বিরোধী’ আখ্যা দিয়েছেন চীনের সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুয়া চুনিং। চীনে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত হিদেও তারুমির সঙ্গে বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে।

বিবৃতিতে হুয়া চুনিংয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “আবের মন্তব্য প্রকাশ্যেই চীনের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী শক্তিকে নির্লজ্জভাবে সমর্থন যুগিয়েছে। চীন এর ঘোর বিরোধিতা করছে।”

বৃহস্পতিবার জাপানের রাজধানী টোকিওয় এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত তলবের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দেশটির মন্ত্রিসভার মুখ্যসচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেন, চীনের এই পদক্ষেপের ব্যাপারে জাপান সহমত নয়। কারণ, সরকারে না থাকা ব্যক্তির কোনও মন্তব্য নিয়ে জাপান সরকারের কিছু বলার এখতিয়ার নেই।

মাতসুনো বলেন, “রাষ্ট্রদূত তারুমি বলেছেন... চীনের বোঝা দরকার যে, জাপানে অনেক মানুষ আছেন যারা এ ধরনের মত পোষণ করেন। আর জাপান এ ধরনের বিষয়ে চীনের একপাক্ষিক দৃষ্টিকোণ মেনে নিতে পারে না।”

বুধবার তাইওয়ানি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল পলিসি রিসার্চ’ এর আয়োজিত ফোরামে অনলাইনে যোগ দিয়ে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবে বলেছিলেন, জাপানের সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ (এটিকে দিয়াওয়ু দ্বীপপুঞ্জ বলে চীন), সাকিশিমা দ্বীপপুঞ্জ এবং ইয়োনাগুনি দ্বীপ তাইওয়ান থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটারের মতো দূরে অবস্থিত। তাইওয়ানে একটি সশস্ত্র আক্রমণ জাপানের জন্যও একটি মারাত্মক বিপদ হয়ে উঠতে পারে।

গত বছর জাপানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান শিনজো আবে। দেশটির ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সবচেয়ে বড় অংশের প্রধান তিনি। দলের ভেতরেও আবে যথেষ্ট প্রভাবশালী।