মঙ্গলবার ফ্রাঙ্কফুর্টের একটি আদালত এ রায় ঘোষণা করে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আল-কায়েদা থেকে বেরিয়ে আসা আইএস ২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ দখলে নিয়েছিল; বিশ্বশক্তিগুলোর পাল্টা অভিযানের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে জঙ্গি গোষ্ঠীটি ওই অঞ্চলে তাদের দখলে থাকা শেষ এলাকা হারায়।
গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আইএস এর প্রথম কোনও সদস্যের সাজা হওয়ায় ফ্রাঙ্কফুর্টের আদালতের এ রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলা হচ্ছে।
বিচারে ইরাকের ২৯ বছর বয়সী নাগরিক তাহা আল-জুমাইলি ২০১৪-১৫ সালের দিকে আইএস যে তিন হাজারের বেশি ইয়াজিদিকে হত্যা এবং ৭ হাজারের বেশি নারী ও কন্যাশিশুকে দাস বানিয়েছিল, তাতে জড়িত থাকার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন।
তার বিরুদ্ধে ৫ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুকে দাস বানানো এবং একটি কক্ষের জানালার সঙ্গে শেকল দিয়ে বেঁধে তীব্র গরমের মধ্যে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে।
মঙ্গলবার আল-জুমাইলি একটি ফাইল ফোল্ডার দিয়ে মুখ ঢেকে আদালতে প্রবেশ করেন। ২০১৯ সালে গ্রিসে গ্রেপ্তারের পর তাকে জার্মানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।
আল-জুমাইলির জার্মান স্ত্রী, যার নাম বলা হচ্ছে জেনিফার ডব্লিউ, তাকেও এ মামলায় সাক্ষ্য দিতে হয়েছে।
নিহত ওই ইয়াজিদি শিশু ও তার মাকে দাস বানানোয় সম্পৃক্ততার দায়ে গত মাসে জেনিফারকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।