শরণার্থী নৌকাডুবি: ফ্রান্স-ব্রিটেন পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ফ্রান্স থেকে ব্রিটেন যাওয়ার পথে রাবারের ডিঙ্গি চুপসে ২৭ শরণার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দুই দেশ একে অপরকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছে।

>>রয়টার্স
Published : 25 Nov 2021, 02:43 PM
Updated : 25 Nov 2021, 02:43 PM

বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর ফ্রান্সের বন্দরনগরী ক্যালের উপকূলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কার দায়িত্ব বহন করা উচিত তা নিয়েই মূলত বাদানুবাদে জড়িয়েছে ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য।

অভিবাসন এবং ব্রেক্সিট নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কয়েক বছরের টানাপোড়েনের সম্পর্কের মধ্যে নতুন করে এই দোষাদোষী শুরু হল। যদিও দুই দেশই যৌথ একটি সমাধান খুঁজে বের করতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।

আরটিএল বেতারকে ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “ব্রিটেনের অভিবাসন ব্যবস্থাপনা বাজে।” তিনি আরও বলেন, “এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। আমরা আমাদের বন্ধুদেশ বেলজিয়াম, জার্মানি এবং ব্রিটেনকে বলছি যে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করা মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদেরকে তাদের সাহায্য করা উচিত।”

মন্ত্রী জানান, গতরাতে গ্রেপ্তার হওয়া এক পাচারকারী জার্মানিতে ডিঙ্গি নৌকা কিনেছিল।

ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এইসব কথার কয়েকঘন্টা আগেই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ফ্রান্সকে দোষারোপ করে বলেছিলেন, “আমাদের কিছু পার্টনারকে, বিশেষ করে ফ্রান্সকে পরিস্থিতি অনুযায়ী কোনও কাজ যেভাবে আমরা করা উচিত মনে করি সেভাবে করতে রাজি করানো কঠিন।”

দুই দেশের এই দোষাদোষীর মধ্যে স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারী এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পাচারকারী এবং শরণার্থীরা অনেক বেশি ঝুঁকি নেওয়ার কারণে এমন বিপর্যয়কর দুর্ঘটনা ঘটারই কথা ছিল।

শরণার্থী বিষয়ক একটি এনজিও বলেছে, “কেবল পাচারকারীদের দোষ দেওয়া মানে ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের দায়-দায়িত্বকে আড়াল করা।”

এই এনজিওটিসহ অন্যান্য এনজিওগুলোও বলছে, শরণার্থীদের চলাচলের বৈধ পথ না থাকায় এবং সমুদ্রতলের ইউরোটানেল রেল সংযোগে কড়া নিরাপত্তা থাকার কারণে শরণার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ সাগর পাড়ির পথ বেছে নিচ্ছে।