সোমালিয়ায় গাড়ি বোমা হামলায় নিহত ৮

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে জাতিসংঘের একটি নিরাপত্তা বহরে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলায় অন্তত আট জন নিহত ও স্কুল শিক্ষার্থীসহ ২৩ জন আহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2021, 10:27 AM
Updated : 25 Nov 2021, 10:45 AM

বৃহস্পতিবারের এ বিশাল বিস্ফোরণে মোগাদিশু প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বলে কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জঙ্গি গোষ্ঠী আল শাবাব হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা বিস্ফোরক ভরা একটি গাড়ি ব্যবহার করে হামলাটি চালিয়েছে। বিস্ফোরণের পর শহরের ওপরে ঘন ধোঁয়ার একটি স্তম্ভ দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলের আশপাশে গুলির শব্দ শোনা গেছে।

হতাহতদের মধ্যে জাতিসংঘের কেউ আছেন কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। একটি স্কুলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জাতিসংঘের বহরটি লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

মন্তব্যের জন্য করা অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।

মোগাদিশু পুলিশের মুখপাত্র আবদিফাতাহ আদেন হাসান বলেন, “আমরা মৃত আট জনের লাশ গুনেছি, ১৩ শিক্ষার্থীসহ আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন।”

একটি এসইউভি ভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে এক আত্মঘাতী হামলাকারী জাতিসংঘের নিরাপত্তা বহরকে লক্ষ্যস্থল করে বলে জানিয়েছেন তিনি।  

আমিন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বিস্ফোরণে আহত অন্তত ২৩ জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলে এর পরিচালক আবদিকাদির আবদিরহমান রয়টার্সকে জানিয়েছেন।

আল শাবাবের সামরিক অভিযানের মুখপাত্র আবদিয়াসিস আবু মুসাব নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আল শাবাবের যোদ্ধারা হামলাটি চালিয়েছে এবং তারা জাতিসংঘের বহরকে লক্ষ্যস্থল করেছে।

মোগাদিশুর কেন্দ্রস্থলে কে-ফোর জংশনের কাছে ঘটানো এই বিস্ফোরণ অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। বিস্ফোরণের ধাক্কায় নিকটবর্তী মুকাসসার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের দেয়ালগুলো ভেঙে পড়ে। বিস্ফোরণে অনেকগুলো গাড়ি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।

“বিস্ফোরণের ধাক্কায় আমরা কেঁপে উঠি, এরপর গুলির তীব্র শব্দে কানে তালা লেগে যায়,” বলেন নিকটবর্তী ওসমান হাসপাতালের নার্স মোহাম্মদ হুসেন। বিস্ফোরণে ধসে পড়া একটি সিলিংয়ের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে তাকে টেনে বের করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

“আমাদের হাসপাতালের দেয়ালগুলো ধসে পড়েছে। আমাদের অপর পাশের স্কুলেরগুলোও ধসে পড়েছে। আমি জানিনা কতোজন মারা গেছে,” বলেন তিনি।

ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশজুড়ে নিজেদের ধরনের কট্টর শরিয়া আইন চালু করতে চাওয়া আল শাবাব বছরের পর বছর ধরে সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। গোষ্ঠীটি সোমালিয়া ও অন্যান্য স্থানে প্রায়ই বোমা ও বন্দুক হামলা চালায়।