ইথিওপিয়া: লড়াইয়ে সামনে থেকে ‘নেতৃত্ব দেবেন’ আবি আহমেদ

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদ্রোহীদের মোকাবেলায় তিনি নিজে লড়াইয়ের ময়দানে গিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2021, 01:37 PM
Updated : 23 Nov 2021, 01:37 PM

তিগ্রাইয়ের বিদ্রোহী বাহিনীগুলো রাজধানী আদ্দিস আবাবার কাছাকাছি এগিয়ে আসছে, এমন প্রতিবেদনের মধ্যেই স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবি আহমদের এ বিবৃতি আসে।

তীব্র হতে থাকা এ গৃহযুদ্ধে ইথিওপিয়ার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে, বিবৃতিতে তিনি এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তিগ্রাইয়ের বাহিনীগুলোর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অনুগত বাহিনীগুলোর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এ লড়াইয়ে দেশটি একটি মানবিক সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের লাখ লাখ বাসিন্দা দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির মোকাবেলা করছে। গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার নিহত ও ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।  

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা বিবৃতিতে আবি বলেন, “আগামীকাল থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নেতৃত্ব দিতে সামনে থাকবো আমি। যারা ইথিপিয়ার সন্তানদের মধ্যে থাকতে চান, ‍যারা ইতিহাসের কাছে সমাদৃত হবে, আজ আপনাদের দেশের জন্য জেগে উঠুন। আসুন যুদ্ধক্ষেত্রে মিলিত হই।”

প্রধানমন্ত্রী আবি সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল। তিনি ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যে ১৯৯৮ থেকে ২০০০ পর্যন্ত চলা যুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আবি ইরিত্রিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে যুদ্ধের পর থেকে প্রায় দুই দশক ধরে চলা উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে ২০১৯ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার জয় করেন।

আবির ঘোষণা আসার আগে তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) বাহিনীগুলো জানিয়েছিল, অন্তত চারটি অগ্রবর্তী অবস্থান থেকে তারা আদ্দিস আবাবার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।

টিপিএলএফের এই দাবি অস্বীকার করেছে ইথিওপিয়া।

আলোচনার মাধ্যমে ইথিওপিয়ার গৃহযুদ্ধ বন্ধের একটি উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছে আফ্রিকান ইউনিয়ন। কিন্তু কোনো পক্ষই আলোচনায় বসতে রাজি হয়নি।     

টিফিএলএফ প্রায় তিন দশক ধরে ইথিওপিয়ার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে, কিন্তু কয়েক বছরের ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর ২০১৮ সালে আবি প্রধানমন্ত্রী হলে তাদের প্রভাব কমতে থাকে।

ইথিওপিয়ার রাজ্যগুলোর অর্থ ব্যয়ের মধ্য দিয়ে আবি ক্ষমতা সংহত করছেন বলে অভিযোগ তোলার পর টিপিএলএফের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন আবি।

২০২০ সালের ৩ নভেম্বর টিপিএলএফের অনুগত বাহিনীগুলো, যাদের মধ্যে কিছু সৈন্যও রয়েছে, তিগ্রাইয়ে সামরিক ঘাঁটিগুলো দখল করে নিলে দু’পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হয়।