কোভিড বিধি-বিরোধী অস্থিরতা ‘বিস্ফোরক’ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে: ম্যাক্রোঁ

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, কোভিড-১৯ এর বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-সহিংসতা গুয়াদেলুপ্পা অঞ্চলে ‘বিস্ফোরক পরিস্থিতি’ সৃষ্টি করেছে।

>>রয়টার্স
Published : 22 Nov 2021, 07:52 PM
Updated : 22 Nov 2021, 08:08 PM

ধর্মঘট সোমবার দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। রাতে লুটপাট হওয়ায় বহু দোকান বন্ধ।

স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিডের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার পদক্ষেপ এবং স্বাস্থ্য পাশ চালুসহ আরও কিছু বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে এই অস্থিরতা শুরু হয়েছে গত সপ্তাহে রাজধানী প্যারিসে।

ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে সাংবাদিকদের ম্যাক্রোঁ বলেন, “আমাদেরকে ব্যাখ্যা করতে হবে, ব্যাখ্যা করতেই হবে, লোকজনকে রাজি করাতেই হবে, করাতেই হবে। কারণ, মানুষের স্বাস্থ্য নিয়েয় কেউ খেলতে পারে না।”

গুয়াদেলুপ্পায় অস্থিরতা সামাল দিতে ফ্রান্স এলিট পুলি কমান্ডোসহ ২শ’ বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করেছে। টানা চার রাতের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পর গুয়াদেলুপ্পার প্রধান শহরটির রাস্তা সোমবার ছিল থমথমে।

স্থনীয় পুলিশ কয়েক ডজন মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে এবং খাবারের দোকানগুলো লুটপাট হওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের মেয়র ফ্রান্স ইনফো বেতারে বলেছেন, “আমরা জানিনা এই পরিস্থিতি কতদূর গড়াবে।”

ইউরোপজুড়ে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যার ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই বিভিন্ন দেশকে অশান্ত করে তুলছে লকডাউন সংক্রান্ত নতুন বিধিনিষেধ। নেদারল্যান্ডসের বন্দর শহর রটারডামে সহিংস বিক্ষোভ ও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের গুলি চালানোর পরের রাতেই হেগে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে আতশবাজি ছুড়েছে, সাইকেলে আগুন দিয়েছে।

বাড়তে থাকা সংক্রমণ মোকাবেলায় দেওয়া নতুন বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও ইতালিতেও হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

ফ্রান্সের গুয়াদেলুপ্পায়ও ইতোমধ্যেই সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে। তবে এ দ্বীপটির প্রধান শহরের মেয়র বলছেন, সেখানে আরও বড় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে এটি যে, দাঙ্গাকারীদের হাতে বন্দুক আছে। শহরের স্কুলগুলো সব সোমবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।