মুখে গ্রহণের প্যাক্সলোভিড নামের এ ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এই ফল পাওয়ার গেছে বলে শুক্রবার জানাল কোম্পানিটি।
কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালবার্টা বলেছেন, “ওষুধটি রোগীর জীবন বাঁচানো, কোভিডে গুরুতর অসুস্থতা কমানো এবং ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেরই হাসপাতালে ভর্তি ঠেকিয়ে দিতে কার্যকর।”
প্রাথমিক ট্রায়ালে অনেক বেশি ইতিবাচক ফল আসায় আগেভাগেই ট্রায়াল বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফাইজার।
ছবি: বিবিসি ভিডিও
ফাইজারের পিল এর একদিন আগেই করোনাভাইরাসের উপসর্গের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার প্রথম ওষুধ মলনুপিরাভির অনুমোদন করেছে যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিশ্বে এখন পর্যন্ত এটিই কোভিডের একমাত্র অনুমোদিত মুখে খাওয়ার ওষুধ।
এই পিল হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে আনে অর্ধেকে। সে তুলনায় ফাইজারের অ্যান্টিভাইরাল পিলের কার্যকারিতা আরও বেশি দেখা গেছে ট্রায়ালে।
বিবিসি জানায়, সম্প্রতি কোভিড আক্রান্ত হওয়া উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ১,২১৯ জন রোগীর ওপর ফাইজারের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, প্লাসিবো বা ডামি পিল সেবন করা রোগীদের তুলনায় প্যাক্সলোভিড সেবন করা অনেক কম রোগীকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে।
তাছাড়া, প্লাসিবো সেবন করা ৭ রোগীর মৃত্যু হলেও ফাইজারের প্যাক্সলোভিড সেবন করা কোনও রোগীর মৃত্যু হয়নি। এই রোগীদেরকে কোভিডের উপসর্গ দেখা দেওয়ার তিনদিনের মধ্যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে, কোভিডের উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৫ দিনের মধ্যে যাদেরকে প্যাক্সলোভিড দিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে, তাদের মাত্র ১ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে এবং তাদের কেউ মারাও যায়নি। অথচ প্লাসিবো সেবন করা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ রোগীকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে এবং তাদের মধ্যে মারাও গেছে ১০ জন।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ, ফাইজারের পিলের ট্রায়ালের এই ফল “অসাধারণ” বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, ব্রিটিশ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখন এই ওষুধের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে দেখবে।
তিনি বলেন, অনুমোদন পেয়ে গেলে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অস্ত্র হিসাবে আমাদের টিকা ও অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি এটিও হবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।”
যুক্তরাজ্য তাদের সদ্য অনুমোদন পাওয়া মলনুপিরাভিরের পাশাপাশি ফাইজারের নতুন ওষুধ অনুমোদন লাভের আগেই তা কেনার অর্ডার দিয়ে রেখেছে।