মাছ ধরা নিয়ে বিরোধের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ট্রলার আটক করল ফ্রান্স

ব্রেক্সিট পরবর্তী মাছ ধরার অধিকার নিয়ে বিরোধের মধ্যে যুক্তরাজ্যের একটি মাছ ধরা ট্রলার আটক এবং আরেকটিকে জরিমানা করেছে ফ্রান্স।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2021, 05:48 PM
Updated : 28 Oct 2021, 05:48 PM

ফ্রান্সের সমুদ্র বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, লে আভে’তে তল্লাশির সময় নৌকাগুলোকে সতর্ক করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, প্রথম ট্রলারটি সঠিক নিয়ম মেনে চলেনি। আর দ্বিতীয়টি অনুমতি না থাকার পরও ফরাসি জলসীমায় মাছ ধরছিল।

বিবিসি জানায়, এ ঘটনার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, তারা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ইইউ ও ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাজ্য প্রস্তুত বলেও জানানো হয়।

এর আগে যুক্তরাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি আটক ট্রলারের বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখছেন। আটক ট্রলারটির নাম কর্নেলিস গের্ট জান।

ফরাসি সমুদ্রবিষয়ক মন্ত্রী এক টুইটে বলেছেন, আটক ট্রলারটির কোনও লাইসেন্স বা বৈধ কাগজ ছিল না। মাছ ধরার মৌসুমে নিয়মিত ব্রিটিশ জাহাজগুলো চেকিং করা হয়।

ফ্রান্স সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আগামী সপ্তাহে কিছু বন্দর থেকে ব্রিটিশ নৌযানগুলো আটকে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে যুক্তরাজ্যের নৌকা এবং ট্রাকগুলোর চলাচলের ক্ষেত্রে তল্লাশি কঠোর করা হবে।

ব্রেক্সিট-পরবর্তী মাছ ধরার লাইসেন্স নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা ২ নভেম্বরের মধ্যে সমাধান না হলে এ পদক্ষেপ নেবে ফ্রান্স।

ব্রেক্সিটের পর মাছ ধরার সীমানা নিয়ে উত্তেজনা বেড়েছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মধ্য। মাছ ধরার স্বত্ব নিয়ে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মধ্যকার উত্তেজনা গত মে মাসে এতটাই তুঙ্গে উঠেছিল যে, যুক্তরাজ্য বিতর্কিত জলসীমায় যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছিল।

কয়েক দশক ধরে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে ফরাসি জেলেরা জার্সি দ্বীপের জলসীমায় মাছ ধরে আসছে। তবে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের (বেক্সিট) পর যুক্তরাজ্য সেখানে মাছ ধরার পরিমাণ বেঁধে দিয়ে ব্রিটিশ জলসীমায় ফ্রান্সের জেলেদের মাছ ধরার নতুন শর্ত কার্যকর করে।

এ নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছিল। ব্রিটেনের বিরুদ্ধে ব্রেক্সিট চুক্তির বরখেলাপ করার অভিযোগ তুলেছিলেন ফ্রান্সে কর্মকর্তারা। ফ্রান্সের পক্ষ থেকে জার্সি দ্বীপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকিও দেওয়া হয়। এরপরই ব্রিটিশ নৌবাহিনীর জাহাজ মোতায়েন হয় সেখানে। পরে পাল্টা পদক্ষেপ নেয় ফ্রান্সও।