ইরানে একটি সম্মেলনে বুধবার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে এক ভাষণে ওয়াং বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ প্রশ্নে আফগানিস্তান ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আরও আলোচনার আয়োজন করতে বেইজিং আগ্রহী।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারে এক মন্তব্যে ওয়াং বলেন, “তালেবান বিশ্বের সঙ্গে সংলাপে আগ্রহী…চীন সঠিক সময়েই আফগানিস্তানের প্রতিবেশীদের তৃতীয় বৈঠক আয়োজন করবে।”
পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কেমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, চীন এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আফগানিস্তান ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।
ওই বৈঠকের পর আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিয়ে আরও একটি সম্মেলন হয়েছিল পাকিস্তানে গত সেপ্টেম্বরে। আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা ছিল সেই বৈঠকের লক্ষ্য।
আফগানিস্তানে তালেবান গত অগাস্টে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই চীন তাদের দিকে জলপাই শাখা বাড়িয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো তালেবানের সঙ্গে আলোচনার পথ খুঁজছে এবং আফগানিস্তানে মানবিক ত্রাণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। তবে তালেবান এই দেশগুলোর কাছ থেকে যে স্বীকৃতির অপেক্ষায় আছে তা তারা এখনও পায়নি।
এ মাসে কাতারে মার্কিন কর্মকর্তারা তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু ওয়াশিংটন বলেছে, এই বৈঠকের মানে তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া নয়।
যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো তালেবানকে তহবিল দিতে আগ্রহী নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না তালেবান মানবাধিকার সমুন্নত রাখা বিশেষ করে নারীদের অধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা না দিচ্ছে।
বুধবার ইরানের সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আমিরাবদ্দুল্লাহিয়ান আফগানিস্তানে সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনকে সমর্থন দিয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টিভি। তার মন্তব্যে ইরান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন ঘটেছে।