ভারতের সঙ্গে সীমান্তে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা, তালেবান-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তান থেকে নিরাপত্তায় ঝুঁকি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানো নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে চীন এই আইন পাস করল।
এই আইনে চীনের সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় কোনও পরিবর্তন সূচিত হবে না। তবে আইনের বদৌলতে সীমান্ত সমস্যা মোকাবেলায় চীনের সক্ষমতা আরও বাড়বে।
আইনে বলা হয়েছে, “চীন তাদের ভৌগলিক সার্বভৌমত্ব এবং স্থলসীমান্ত নিরাপত্তা চূড়ান্তভাবে রক্ষা করতে কার্যকর নানা পদক্ষেপ নেবে।”
এতে আরও বলা হয়েছে, চীনের সশস্ত্র বাহিনী এবং সামরিক পুলিশ সীমান্তে আগ্রাসন, অনুপ্রবেশ কিংবা যে কোনও উস্কানি মোকাবেলায় দায়িত্ব পালন করবে।
তাছাড়া, যুদ্ধ কিংবা সশস্ত্র সংঘাত সীমান্ত নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাঁড়ালে চীন সীমান্ত বন্ধও করে দিতে পারবে।
প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে নজর রেখে আসছে চীন। কারণ, গত অগাস্টেই আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে তালেবান।
এই প্রেক্ষাপটে সেখান থেকে চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলে মুসলিম উইঘুরদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে জঙ্গি কিংবা শরণার্থী অনুপ্রবেশ নিয়ে বেইজিং উদ্বেগে আছে।
অন্যদিকে, হিমালয় সীমান্তে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকেই চীনের সেনারা ভারতের সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষ নিয়ে এক ধরনের অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
সীমান্তের বাইরে থেকে দেশের ভেতরে যাতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়াতে না পারে তা নিশ্চিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে আসছে চীন।
মিয়ানমার এবং ভিয়েতনাম থেকে মানুষের অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে এ বছর চীনের ইউনান এবং গুয়াংশি প্রদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়েছে। তাই নতুন আইনে চীন এই ভাইরাস থেকেও সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখতে চায়।
‘পিপলস রিপাবলিক অব চায়না’ এই প্রথম রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়াসহ ১৪ টি দেশের সঙ্গে তাদের ২২,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত কীভাবে পরিচালিত হবে এবং নজরদারিতে রাখা হবে তার সুনির্র্দিষ্ট বিবরণ দিয়ে একটি আইন পাস করল।