বৃহস্পতিবার রাজধানী ওয়েলিংটনে নতুন গভর্নর জেনারেল হিসেবে শপথ নিয়ে সিনডি কিরো অভিবাসী ও প্রান্তিক নাগরিকদের কাছে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অল্প সংখ্যক অতিথির উদ্দেশ্যে আদিবাসী এই নারী গভর্নর জেনারেল বলেন, তিনি তার মাউরি ও ব্রিটিশ- উভয় উত্তরাধিকার নিয়েই গর্বিত।
ব্রিটিশ রাজা বা রানিই তাদের একসময়কার উপনিবেশ নিউ জিল্যান্ডের আনু্ষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান; গভর্নর জেনারেল তাদের প্রতিনিধিত্ব করেন।
নিউ জিল্যান্ডের এ গভর্নর জেনারেলের পদ অলঙ্কারিক, বিভিন্ন বিলে স্বাক্ষর করে তা আইনে পরিণত করাসহ সাংবিধানিক কিছু দায়িত্ব পালন ও নানান রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করা ছাড়া তার তেমন কোনো ক্ষমতা থাকে না।
সিনডি কিরো নিউ জিল্যান্ডের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন, করেছেন শিক্ষকতাও। তিনি মাসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক নীতির ওপর পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন, ব্যবসায় প্রশাসনে এমবিএ করেছেন অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
তার পরিবারে তিনিই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি পেয়েছেন।
সিনডি কিরো যে জনগোষ্ঠীর সদস্য, সেই মাউরিরা নিউ জিল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ হলেও সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে এখনও সুবিধাবঞ্চিত।
২০১৯ সালে আদিবাসী এই জনগোষ্ঠীর হাজার হাজার সদস্য সামাজিক ন্যায়বিচার ও ভূমির অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছিল।
শপথ অনুষ্ঠানে নিউ জিল্যান্ডের প্রথম আদিবাসী নারী গভর্নরকে অভিনন্দন জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আ’ডার্ন।
গত বছর দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নিউ জিল্যান্ডের পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতা হিসেবে বিপুল সংখ্যক নারী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষদের জড়ো করেছেন আ’ডার্ন; দেশটিতে এর আগে এত বৈচিত্র্যপূর্ণ পার্লামেন্ট আর দেখা যায়নি।