তিগ্রাইতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুটি বিমান হামলা ইথিওপিয়ার

ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিগ্রাই অঞ্চলে দ্বিতীয়বারের মতো বিমান হামলা চালিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2021, 06:26 AM
Updated : 21 Oct 2021, 06:26 AM

দেশটির সরকারের মুখপাত্র লেগেসে টুলু জানিয়েছেন, বুধবার তিগ্রাই অঞ্চলের রাজধানী মেকেল্লে থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে টেমবেনের আগবেতে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও গোলাবারুদের গুদাম লক্ষ্য করে দ্বিতীয় বিমান হামলাটি চালানো হয়।

এর আগে একইদিন সকালে মেকেল্লেতে আরেকটি বিমান হামলা চালানো হয়েছিল। তিগ্রাইয়ের টেলিভিশন জানিয়েছে, মেকেল্লের কেন্দ্রস্থল লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছে।

কিন্তু ইথিওপিয়ার সরকার জানিয়েছে, একটি ভবন লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছে যেখানে তিগ্রাইয়ের বাহিনী অস্ত্রশস্ত্র মেরামত করে।

প্রায় এক বছর ধরে চলা যুদ্ধে তিগ্রাইয়ের বিদ্রোহী বাহিনীগুলোকে দুর্বল করার লক্ষ্যে ইথিওপিয় সরকারের অভিযান উল্লেযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

“তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) অস্ত্রশস্ত্র ও ভারী কামান উপাসনালয়গুলোতে লুকিয়ে রাখতে পারদর্শী এবং সাধারণ তিগারিয়ানদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে,” বলে অভিযোগ করেন লেগেসে।

মেকেল্লে থেকে দুই জন প্রত্যক্ষদর্শী ও একজন মানবাধিকার কর্মী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সকালের বিমান হামলাটি মেসফিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। এই কারখানা কমপ্লেক্সটি টিপিএলএফকে সমর্থন যোগায় বলে বিশ্বাস ইথিওপিয়া সরকারের।  

টিপিএলএফের নেতা দেব্রেতসিওন গেবরেমিচায়েল সরকারি বাহিনীর কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “যুদ্ধক্ষেত্রে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমার ব্যাখ্যা হল, স্থল যুদ্ধে হারতে থাকার কারণেই তারা বিমান হামলা চালাচ্ছে আর এটিই তাদের প্রতিশোধ। তারা তিগারিয়ান বেসামরিকদের গ্রাহ্য করে না, তাদের বোমা হামলা এটিই তুলে ধরছে।” 

অজ্ঞাত একটি স্থান থেকে স্যাটেলাইন ফোনে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলার সময় গেবরেমিচায়েল জানান, বিমান হামলায় ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লেক্সটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, বরং আরেকটি বেসরকারি কোম্পানির কম্পাউন্ডে আঘাত লেগেছে। তবে আর বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

টিপিএলএফ পরিচালিত তিগারি টেলিভিশন জানিয়েছে, বিমান হামলায় আহত নয় বেসামরিককে একটি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ও টিপিএলএফের মধ্যে ক্ষমতা দ্বন্দ্বে গত প্রায় এক বছর ধরে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধে কয়েক হাজার লোক নিহত ও বিশ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

দেশটির উত্তরাঞ্চল টিপিএলএফ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২০১৮ সালে আবি আহমেদ ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এক দশক ধরে দেশটির ক্ষমতাসীন দলকে নিয়ন্ত্রণ করেছে টিপিএলএফ।