পাকিস্তানে মেয়ে-নাতিসহ সাত জনকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

পাকিস্তানে দুই মেয়ে, এক জামাই ও চার নাতি-নাতনিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মনজুর হুসেইন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

>>রয়টার্স
Published : 18 Oct 2021, 05:08 PM
Updated : 18 Oct 2021, 05:08 PM

মেয়ের নিজের পছন্দের বিয়ে মেনে নিতে না পারার কারণে বাবা মনজুর তাদেরকে হত্যা করেছেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। মনজুরকে খুঁজছে পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল মজিদ ফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, প্রায় ১৮ মাস আগে বাবা মনজুর হুসেইনের অমতে মেহবুব আহমাদকে বিয়ে করেন মেয়ে ফৌজিয়া বিবি।

এরপর মুজাফফরগড় জেলার একটি গ্রামে বোন খুরশিদ মাইর সঙ্গে একই বাড়িতে বাস করে আসছিলেন ফৌজিয়া ও তার স্বামী।

“প্রেমের বিয়েকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যকার শত্রুতার ফলই হচ্ছে, আগুনে মেয়েদেরকে তাদের সন্তানসহ পুড়িয়ে মারার এই ঘটনা”, বলেন পুলিশ কর্মকর্তা মজিদ। ফৌজিয়া যে গ্রামে বাস করতেন তার পাশের গ্রামেই থাকেন মনজুর হুসেইন।

বাড়ি আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় মারা যান ফৌজিয়া বিবি, খুরশিদ মাই, তাদের চার সন্তান এবং খুরশিদের স্বামীও। তবে ঘটনার সময় বাড়িতে না থাকায় বেঁচে যান ফৌজিয়ার স্বামী মেহবুব আহমাদ।

পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে মেহবুব বলেছেন, আগুন দেওয়ার ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ভোর সকালের দিকে কাজ থেকে ফেরার পর তিনি দেখেন বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে।

মেহবুব জানান, আগুনে খুরশিদ মাইয়ের ২, ৬ ও ১৩ বছরের তিন সন্তানের সঙ্গে তার চার মাসের ছেলেও মারা গেছে।

পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের তথ্যমতে, পরিবারের অমতে বিয়ে করার কারণে পাকিস্তানে প্রতিবছর স্বজনদের হাতে খুন হন শত শত নারী।