তালেবান পাকিস্তান এয়ারলাইন্সকে তাদের টিকেট ভাড়া কমিয়ে অগাস্টে পশ্চিমা-সমর্থিত আফগান সরকার পতনের আগের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর ফ্লাইট বন্ধের এই সিদ্ধান্ত এল।
গত ১৫ অগাস্ট তালেবান কাবুল দখলের পর কেবল পাকিস্তান এয়ারলাইন্সই এখন সেখানে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বিবিসি জানায়, কাবুল থেকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে যাওয়ার টিকেট বিক্রি হচ্ছে অগাস্টের সময়কার টিকেটের অন্তত ১০ গুণ বেশি মূল্যে (১২০০ ডলার)।
এ পরিস্থিতিতে তালেবান সরকারের পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, টিকেটের দাম ইসলামিক আমিরাতের বিজয়ের আগের অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। আগে টিকেটের দাম ১২০-১৫০ ডলার ছিল।
এই নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া না নিলে কাবুলে ইসলামাবাদের বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে আফগান পরিবহন মন্ত্রণালয়।
তবে পিআইএ মুখপাত্র আবদুল্লাহ খান বলছেন, তালেবান দৈবাৎ নিয়ম পরিবর্তন করেছে এবং স্টাফদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এয়ারলাইন্সের স্টাফদেরকে কয়েকঘন্টা বন্দুকের মুখে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পিআইএ মুখপাত্র বলেন, “তালেবান কর্তৃপক্ষের বাড়াবাড়ির কারণে আমরা আজ থেকে কাবুলে আমাদের ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত করছি।”
তালেবান কর্মকর্তারা পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের স্টাফদের সঙ্গে অপমানজনক ভাষায় কথা বলেছে এবং এক স্টাফকে ধাক্কাও দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। “পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়া পর্যন্ত কাবুল থেকে পাকিস্তানে যাওয়া এবং আসার সব ফ্লাইটই বন্ধ থাকবে” বলে জানিয়েছেন পিআইএ- এর মুখপাত্র।
অগাস্টের শেষে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনারা চলে যাওয়ার পর গত মাসে দেশটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু হয়। তখন থেকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান দুই দেশের মধ্যে খুবই সীমিত পরিসরে বিমান চলাচল করেছে।