তাইওয়ানের আকাশে ৩৮ চীনা যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের অভিযোগ

তাইওয়ান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চল দিয়ে একদিনের মধ্যে দুই দফায় মোট ৩৮টি চীনা যুদ্ধবিমান উড়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2021, 10:41 AM
Updated : 2 Oct 2021, 10:41 AM

এখন পর্যন্ত এটাই বেইজিংয়ের সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশ, বলছে স্বশাসিত দ্বীপটি।

তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দিনের আলোতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ২৫টি বিমান প্রাতাস দ্বীপপুঞ্জের প্রবালের পাশ দিয়ে উড়ে যায়। পরের ধাপে ১৩টি যুদ্ধবিমান যায় বাশি চ্যানেল দিয়ে; এই জলসীমা তাইওয়ান ও ফিলিপিন্সকে পৃথক করেছে।

চীনা অনুপ্রবেশের পাল্টায় তাইওয়ানও জঙ্গিবিমান পাঠিয়েছিল এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছিল বলে দ্বীপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি। 

আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চল বা এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন (এডিআইজেড) মূলত কোনো দেশের মূল আকাশসীমার বাইরে অবস্থিত। বিদেশি উড়োজাহাজকে শনাক্ত করা, তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রত্যেকটি দেশ নিজেরাই এই এডিআইজেড-এর সীমানা ঠিক করে। কার্যত এটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমা হিসেবেই থাকে।

চীন তাইওয়ানকে তার একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বিবেচনা করে, অন্যদিকে তাইওয়ান দাবি করে তারা স্বাধীন, সার্বভৌম।

“চীন উদ্দেশ্যমূলকভাবেই সামরিক আগ্রাসনে লিপ্ত হয়েছে, আঞ্চলিক শান্তির ক্ষতি করছে,” শনিবার সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং-চেং। 

পিপলস রিপাবলিক অব চীনের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা বেইজিংয়ের সরকার এখন পর্যন্ত তাইওয়ানের সর্বশেষ অভিযোগ বিষয়ে কিছু বলেনি।

এর আগে তাইওয়ানের এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা বলত, চীনের সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা নিশ্চিতেই ওই বিমানগুলো পাঠানো হয়।

শুক্রবার চীনের যে যুদ্ধবিমানগুলো এডিআইজেডে ঢুকেছিল বলে অভিযোগ, তার মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ৪টি এইচ-৬ বোমারু বিমান ও একটি সাবমেরিনবিধ্বংসী বিমান ছিল বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিবিসি জানিয়েছে, বেইজিং সাধারণত তাইওয়ানের কোনো প্রতিক্রিয়ায় অসন্তোষ ব্যক্ত করতে এ ধরনের বিমান বহর পাঠায়।

তবে শুক্রবার কেন তারা এতগুলো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল, তা স্পষ্ট হওয়া যাচ্ছে না।