চীনে বিদ্যুৎ বিভ্রাট মোকাবেলায় বাড়ছে কয়লা আমদানির চাপ

চীনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শিল্প এলাকার প্রাণকেন্দ্র ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিপর্যস্ত হওয়ায় ঘরের বাতি জ্বালাতে, কলকারখানা খোলা রাখতে ও পানি সরবরাহ ঠিক রাখতে যত দ্রুত সম্ভব বেশি পরিমাণ কয়লা আমদানি করতে কর্মকর্তাদের ওপর উদ্বিগ্ন নাগরিকদের চাপ বাড়ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2021, 12:06 PM
Updated : 28 Sept 2021, 12:33 PM

প্রয়োজনীয় কয়লা সরবরাহ না থাকায় দেখা দেওয়া বিদ্যুৎ ঘাটতি কলকারখানার বড় অংশকে পঙ্গু করে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোর মধ্যে অন্যতম জিলিনের গভর্নরও কয়লা আমদানি বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।

বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর একটি সমিতিও বলেছে, সরবরাহ ‘যে কোনো মূল্যে’ বাড়াতে হবে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা অসংখ্য পোস্টে চীনের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ট্রাফিক লাইট, আবাসিক ভবনের লিফট, থ্রিজি মোবাইল ফোনের কভারেজ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন কলকারখানা অচল হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থ রয়টার্স।

জিলিনের একটি পরিষেবা সংস্থা বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছে, বিদ্যুতের ঘাটতি যে কোনো সময় পানি সরবরাহেও বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিপর্যস্ত শহরগুলোর তালিকায় শেনইয়াং ও দালিয়ানও আছে, এ দুটো শহরে এক কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষের বাস।

বিদ্যুতের অভাবে অ্যাপল, টেসলার মতো বড় বড় কোম্পানির যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী অনেক কারখানার উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটারও খবর পাওয়া যাচ্ছে।

কয়লার মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে চীনের যে ১০টিরও বেশি প্রদেশে বিদ্যুৎ ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে জিলিন তার মধ্যে একটি।

আড়াই কোটির কাকছাকাছি জনসংখ্যার প্রদেশটির গভর্নর হ্যান জুন সোমবার বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বলেছেন, কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত রাখতে ‘একাধিক চ্যানেল’ ঠিক করে রাখা দরকার।

চীনের রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আরও কয়লা সংগ্রহ করা দরকার বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। 

গোল্ডম্যান স্যাক্সের ধারণা অনুযায়ী, চীনের শিল্পকারখানার কর্মকাণ্ডের ৪৪ শতাংশই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা তাদের মোট দেশজ উৎপাদনেও প্রভাব ফেলবে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত এক নোটে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিনিয়োগ ব্যাংকটি জানিয়েছে, চলতি বছরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে এখন মনে করছে তারা।

এর আগে তারা চীনের এ বছরের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিল।