প্রথমবার ট্রান্সজেন্ডার আইনপ্রণেতা পেল জার্মানি

জার্মানির গ্রিন পার্টির দুই রাজনীতিক প্রথমবারের মত ট্রান্সজেন্ডার নারী হিসেবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে জিতে ইতিহাস গড়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2021, 08:06 AM
Updated : 28 Sept 2021, 08:15 AM

রাজনীতিক টেসা গানজেরা ও নাইকি স্লাভিকের আগে জার্মানির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্দেসটাগ আর কখনো কোনো ট্রান্সজেন্ডার সদস্য পায়নি।

রোববারের নির্বাচনে ফলাফলের ভিত্তিতে তাদের দল গ্রিন পার্টি জার্মানির তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ২০১৭ সালের নির্বাচনে দলটির প্রাপ্ত ভোট ৮ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল, এবার বেড়ে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ত্রিমুখী একটি জোট সরকার গড়ার ক্ষেত্রে এ দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

“গ্রিন পার্টির জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক বিজয়, একইসঙ্গে এটি ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে হওয়া বৈষম্য থেকে মুক্তির আন্দোলন এবং সমকামী, ট্রান্সজেন্ডার, বাইসেক্সুয়ালদের সমগ্র সম্প্রদায়ের বিজয়,” বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন ৪৪ বছর বয়সী গানজেরা।

এ নির্বাচনের ফলকে একটি মুক্ত ও সহনশীল সমাজের প্রতীক হিসেবেও দেখছেন তিনি।

২০১৩ সালে বাভারিয়ার আঞ্চলিক পার্লামেন্ট নির্বাচনেও জিতেছিলেন তিনি। তার অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে আছে পরিচয় সংক্রান্ত নথিপত্রে লৈঙ্গিক পরিচয় সহজ উপায়ে পরিবর্তনের অনুমোদন আদায় করা।

তিনি আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে সমকামী মায়েরা যেন সন্তান দত্তক নিতে পারে, তাও নিশ্চিত করতে চান।

বুন্দেসটাগে আসন জেতা অপর ট্রান্সজেন্ডার ২৭ বছর বয়সী স্লাভিকের কাছে নির্বাচনের ফলকে ‘অবিশ্বাস্য’ মনে হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া থেকে বুন্দেসটাগে যাচ্ছেন তিনি।

“পাগলামি। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না,” ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন স্লাভিক।

তিনি সমকামী ও ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে ঘৃণা ও ভীতি দূর করতে দেশজুড়ে একটি অ্যাকশন প্ল্যান, একটি আত্মনিয়ন্ত্রণের আইন এবং কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী আইনের আধুনিকায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

জার্মানিতে সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে দেখা বন্ধ হয় ১৯৬৯ সালে, সমলিঙ্গের বিয়ে স্বীকৃতি পায় ২০১৭ সালে।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে গত বছর সমকামী, ট্রান্সজেন্ডার, বাইসেক্সুয়ালদের প্রতি বিদ্বেষমূলক অপরাধ ৩৬ শতাংশ বেড়েছে; যা দেখাচ্ছে জার্মান সমাজের বিভিন্ন অংশে সমকামীদের নিয়ে ঘৃণা, আতঙ্ক উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে।

আরও পড়ুন: