বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াতেই মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ সবচেয়ে বেশি। কিন্তু দেশটি এখন পর্যন্ত ২০৫০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন ‘জিরো’ তে নামিয়ে আনা কিংবা ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ দ্বিগুণেরও বেশি হ্রাস করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার বলেছেন, জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক গ্লাসগো সম্মেলনে (কপ-২৬) কে যোগ দেবেন সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তার দেশ। তবে দীর্ঘপ্রতীক্ষিত কার্র্বন নিঃসরণ পরিকল্পনার ব্যাপারে এবার প্রথম জোরাল পদক্ষেপ নেবে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রডকাস্টিং করপোরেন বেতারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা যেমনটি বলেছি, একটি যে ব্যাপারে আমরা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তা হল কপ-২৬ সম্মেলনে যাওয়ার আগে দীর্ঘমেয়াদী একটি কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের পরিকল্পনা করা। সরকার হিসাবে আমরা এদিকেই মনোনিবেশ করেছি।”
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন সদ্যই ওয়াশিংটন থেকে ফিরেছেন। সেখানে তিনি নিরাপত্তা ও জলবায়ু নিয়ে আলোচনার মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস নিয়ে একটি চুক্তি করেছেন। হাইড্রোজেন এবং সস্তা সোলার প্রযুক্তি সরবরাহকে কেন্দ্র করে এ চুক্তি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস নিউজের ‘ফেস দ্য ন্যাশন’ প্রোগ্রামে মরিসন বলেছেন, “এটাই সেই জিনিস যা কোনও দেশকে (গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন রোধ) নেট জিরোতে নিয়ে যেতে পারে। উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশগুলোকে নেট জিরোর পথে নিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত বিশ্ব কেবল উত্তপ্তই হতে থাকবে।”
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া যত দ্রুত সম্ভব নেট জিরো তে পৌঁছতে চায়; আর তা করতে চায় ২০৫০ সালের মধ্যেই। সেইসঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ২০০৫ সালের মাত্রার তুলনায় ২৬ থেকে ২৮ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি পূরণ করার আশা রাখে।