মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা, ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন

মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে জান্তা সরকার বিরোধী যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সেখানে বিমান হামলা শুরু করেছে সেনাবাহিনী। দেশটির কিছু কিছু জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ ও ফোন লাইনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 27 Sept 2021, 12:28 PM
Updated : 27 Sept 2021, 12:28 PM

গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চি সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সংকটাপন্ন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশে জান্তা বিরোধী বিক্ষোভ চলে আসছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে গঠিত হয়েছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফএস)।

ডিভিবি নিউজ পোর্টালের খবরে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিমে সাগাইংয়ের পিনলেবু এলাকায় সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করায় বিমান হামলা চলছে। শনিবার রাতে স্থানীয় অধিবাসীরা বিমান এবং বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়ার কথা জানায়। এরপরই ফোন লাইন এবং ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পিনলেবুর পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফএস) এর এক সদস্য এলাকাটির বাইরে থেকে ফোনে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে, বিমান হামলা হয়েছে। তবে পিডিএফ এর কেউ হতাহত হননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সদস্য বলেন, তিনি ফোনের লাইন এবং ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের কারণে দলের অন্যান্য সদস্যর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এইসব কোনও দাবিই নিরপেক্ষ সূত্রে যাচাই করতে পারেনি এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিপরীতে গঠিত ছায়া প্রশাসন জাতীয় ইউনিটি সরকার (এনইউজি) বলছে, লড়াই চলাকালে তারা রকেট-চালিত গ্রেনেড, ছোটখাটো অস্ত্র, অস্ত্রের গুদাম এবং গোলা জব্দ করেছে। তাদের দাবি, লড়াইয়ে ২৫ জনের বেশি সরকারি সেনা নিহত হয়েছে।

গত ৭ সেপ্টেম্বরে আন্ডারগ্রাউন্ড এনইউজি আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে জান্তা সরকারকে নিশানা বানানোর জন্য পিডিএফএস-কে আহ্বান জানানোর পর সাগাইং এর মতো জায়গাগুলোতে রক্তক্ষয় বেড়েছে। বিদ্রোহ দমন করতে ওইসব এলাকায় লড়াইয়ের আগে বিশেষত, শহরগুলোতে সামরিক বাহিনী ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়।

গত বৃহস্পতিবার থেকে সামরিক বাহিনী মিয়ামারের চিন প্রদেশ ও মাগওয়া অঞ্চলের সংঘাতপূর্ণ ১১টি এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বলে স্থানীয় অধিবাসী এবং পিডিএফএস সদস্যদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে মিয়ানমার নাউ নিউজ পোর্টাল।

গত সপ্তাহে সংঘাতের কারণে ভারত সীমান্ত লাগোয়া চিন প্রদেশের থানল্যাং শহর ছেড়ে পালিয়ে যায় হাজার হাজার মানুষ। সে সময় লড়াইয়ে একজন খ্রিস্টান যাজকও নিহত হন।