হেরাতে কথিত অপহরণকারীদের মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখল তালেবান

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতের তালেবান কর্তৃপক্ষ কথিত চার অপহরণকারীকে হত্যা করে তাদের মৃতদেহ প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রেখেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2021, 05:14 PM
Updated : 25 Sept 2021, 05:25 PM

ভয় দেখিয়ে অন্যদের এ ধরনের অপরাধ থেকে বিরত রাখতেই এমনটি করা হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা।

হেরাতের ডেপুটি গভর্নর শের আহমদ আম্মার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ওই লোকেরা স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ও তার ছেলেকে অপহরণ করে শহরের বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করছিল, তখন শহরজুড়ে বসানো চেকপয়েন্টগুলোর টহলদাররা তাদের দেখে ফেলে। 

দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে ওই চার জনের সবাই নিহত হয় আর এক তালেবান সেনা আহত হয়।

“তাদের মৃতদেহ শহরের মূল চত্বরে এনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অন্যান্য অপহরণকারীদের সতর্ক করতেই এমনটি করা হয়েছে,” বলেছেন তিনি।

তিনি জানান, যাদের অপহরণ করা হয়েছিল তারা অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেয়েছে।

হেরাতের বাসিন্দা মোহাম্মদ নাজির রয়টার্সকে জানান, তিনি শহরের মোস্তোফিয়াত স্কয়ারের কাছে খাবার কিনতে গিয়েছিলেন তখন জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লাউডস্পিকারে দেওয়া এক ঘোষণা শুনতে পান।

“আমি কয়েক পা এগিয়ে দেখি তারা পিকআপ ট্রাকে করে একটি মৃতদেহ নিয়ে এসেছে, তারপর সেটিকে ক্রেনে করে ঝুলিয়ে রাখছে,” বলেন তিনি।

রক্তাক্ত ওই মৃতদেহ ক্রেনের উপরে দুলছে এমন ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে, তাতে নিহতের বুকে আটকানো একটি বার্তায় লেখা ছিল, “এটাই অপহরণের শাস্তি।”

এর সঙ্গে অন্য কোনো মৃতদেহ দেখা না গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে সেগুলো শহরের অন্যান্য অংশে ঝোলানো হয়েছে বলে জানানো হয়।

গেল সপ্তাহে বার্তা সংস্থা এপিতে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতা মোল্লা নুরুদ্দিন তুরাবি জানিয়েছিলেন, অপরাধীদের নিবৃত্ত করতে অঙ্গচ্ছেদ ও মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি বিধান আবার চালু করবে তারা।  

আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, ডাকাতি, খুন ও অপহরণের মতো অপরাধ বন্ধ করতে তারা আইনভঙ্গকারীদের দ্রুত ও কঠোর শাস্তি দেওয়া অব্যাহত রাখবে।

আফগানিস্তানে এ ধরনের অপরাধের ব্যাপকতা আছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।