২০০৫ সালের পর এই প্রথম ডব্লিউএইচও বুধবার এই নির্দেশনা দিল। ১৯৪ টি সদস্যদেশকে পরামর্শ দিয়ে ডব্লিউএইচও বায়ুতে বস্তুকণা এবং নাইট্রোজেন অক্সাইডসহ অন্যান্য উপদানের উপস্থিতির মাত্রার সর্বোচ্চ সীমা কমানোর কথা বলেছে।
দূষণ কণা এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড দুই-ই জীবাশ্ম জ্বালানি নির্গমণ থেকে আসে।
নতুন গাইডলাইনের আওতায় ডব্লিউএইচও বাতাসে বার্ষিক গড় পিএম ২.৫ উপস্থিতির নির্ধারিত মাত্রা অর্ধেক কমিয়ে প্রতি কিউবিক মিটারে ১০ মাইক্রোগ্রাম থেকে ৫ মাইক্রোগ্রাম করেছে। আর পিএম ১০ মাত্রার সীমাও ২০ মাইক্রোগ্রাম থেকে কমিয়ে ১৫ করা হয়েছে।
“এই নির্দেশনায় দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী বর্তমানে বায়ু দূষণের যে মাত্রা তা কমানো গেলে বিশ্বব্যাপী পিএম ২.৫ (২.৫ মাইক্রনের চেয়েও কম ব্যাসের বায়ুবাহিত বস্তুকণা) জনিত মৃত্যুর হাত থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষকে বাঁচানো যেতে পারে” বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
সংস্থাটি আরও বলেছে, “জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বায়ু দূষণও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় আরেকটি হুমকি।”
নতুন গাইডলাইনে বায়ুর মান রক্ষায় দূষণসষ্টিকারী বস্তুকণা ও অন্যান্য উপাদানের উপস্থিতির মাত্রার যে সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা অতিক্রম করলে প্রবল স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে।
বায়ুতে ভেসে বেড়ানো সুক্ষ্ম কণাগুলো মানুষের ফুসফুস ও রক্তপ্রবাহে মারাত্মক দূষণ ঘটাতে পারে। দূষিত বায়ুতে দীর্ঘ সময় থাকলে ক্যান্সার ও হৃদরোগের মতো প্রণাঘাতী অসুখও হতে পারে। তাই মানুষের এর সংস্পর্শে আসা কমানোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছে ডব্লিউেএইচও।
পরিবেশবাদী আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্রিনপিসের ব্রিটেন-ভিত্তিক বায়ু দূষণ বিষয়ক বিজ্ঞানী আইদান ফারো বলেছেন, “দূষণসষ্টিকারী উপাদান নির্গমণ কমাতে বিভিন্ন দেশের সরকার কার্যকর নীতি বাস্তবায়ন করছে কিনা সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কয়লা, তেল, গ্যাসে বিনিয়োগ বন্ধ করা এবং স্বচ্ছ জ্বালানির পথে যাওয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়াটা বায়ুর মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে জরুরি।”