কানাডায় জাতীয় নির্বাচন, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

কানাডায় নির্ধারিত সময়ের দু’বছর আগেই সোমবার শুরু হয়েছে আগাম জাতীয় নির্বাচন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2021, 07:02 PM
Updated : 20 Sept 2021, 07:02 PM

ভোটে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টির সঙ্গে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মূলত কোভিড মোকাবেলায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং টিকা সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভোটারদের ম্যান্ডেট নিতেই এই নির্বাচন আয়োজন।

বিবিসি জানায়, এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেছেন, “মহামারীরে ক্ষত কাটিয়ে উঠতে আগামী পদক্ষেপ কী হবে তা বেছে নিতে দেশের জন্য এখনই ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়’। এ কারণেই নির্বাচন জরুরি।

মূলত পাঁচটি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তার মধ্যে ট্রুডোর লিবারেল পার্টি এবং এরিন ও’টুলের নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল দু’য়েরই জনপ্রিয়তার ব্যবধান খুবই কম। ২০১৯ সালের নির্বাচনেই ট্রুডোর লিবারেল পার্টি নাজুক অবস্থায় ছিল।

দলটি পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতাদের সমর্থন নিয়ে শাসন চালাতে পেরেছে। নির্বাচনের প্রশ্নে ক্ষমতাসীন দল বলছে, তারা পার্লামেন্টে সংখ্যালঘু সরকার হওয়ায় প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। নীতি-কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার।

গুরুত্বপূর্ণ অনেক আইন প্রণয়ন বা বাতিলের ক্ষেত্রে বিরোধী কনজারভেটিভ এমপি’দের নেওয়া পদক্ষেপে পার্লামেন্ট অচল হয়ে পড়ছে। অথচ কোভিড মহামারী নিয়ন্ত্রণে আনা এবং দেশের অর্থনৈতিক ‍পুনরুদ্ধারের জন্য দরকার শক্তিশালী জনরায়। তাই আগাম নির্বাচনের পথে হাঁটা ছাড়া সরকারের আর কোনও উপায় ছিল না।

বিতর্কিত কিছু বিষয় বাদ দিলে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জাস্টিন ট্রুডোর কাজ প্রশংসিত হয়েছে। বিভিন্ন জরিপেও তার দল কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে। তাই ট্রুডোর দলই নির্বাচনে জিতবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তাছাড়া, প্রতিপক্ষ কনজারভেটিভ দলের নেতা এরিন ও’টুল তুলনামূলক কম পরিচিত। সেদিক থেকেও ট্রুডো থাকছেন সুবিধাজনক অবস্থানে। তবে নির্বাচনী প্রচারকালে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ট্রুডো।

মহামারীর চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যে নির্বাচন ডাকায় সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। গোটা বিশ্বের মতো কানাডাও মহামারীতে বিপর্যস্ত, বিভিন্ন খাতে সংকট চলছে। চতুর্থ ঢেউ নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন। তার মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ভোটাররা।

মূলত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছাড়াও করপোরেট ট্যাক্স, জ্বালানি ও পরিবেশ, বাৎসরিক পরিকল্পনা, আবাসিক খাত, চাকরি, বয়স্ক নাগরিক সুবিধা, ক্ষুদ্র ব্যবসা, প্রযুক্তি ও বাণিজ্যর মতো নানা বিষয় নির্বাচনী এজেন্ডার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।