সোমবার সকালে টিভিই রেডিও স্টেশনকে পালমার মেয়র সার্হিও রদ্রিগেজ জানিয়েছেন, ১৫ মিটার উঁচু লাভার প্রবাহ ইতোমধ্যেই এল পাসো গ্রামের ২০টি বাড়ি ও কয়েকটি সড়কের অংশ গ্রাস করে নিয়েছে।
এখন লাভার প্রবাহ প্রতিবেশী লোস লানোস দে আরিদানে গ্রামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং সেখানে কয়েকশ বাড়ি ঝুঁকির মুখে আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
“আমরা লাভার গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছি,” বলেছেন রদ্রিগেজ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উত্তরপশ্চিমের দ্বীপ লা পালমার এই আগ্নেয়গিরিটিতে রোববার বিকাল থেকে অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে। উদ্গিরিত লাভা শূন্যে কয়েকশ মিটার পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে এবং গলিত পাথরের স্রোত লা পালমার একটি জনবিরল এলাকার ওপর দিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুরো এল পাসো ও লোস লানোস দে আরিদানেসহ চারটি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে।
এরপর আর কোনো বাসিন্দাকে হয়তো সরানোর প্রয়োজন হবে না বলে সোমবার সকালে জানিয়েছেন ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট আনহেল ভিক্তোর তোরেস।
“লাভা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আর এতে ক্ষয়ক্ষতি যা হবে তা বস্তুগত। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য অনুযায়ী সেখানে এক কোটি ৭০ লাখ থেকে দুই কোটি কিউবিক মিটার লাভা আছে,” বলেছেন তিনি।
এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি আর কেউ দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ না করলে এ ধরনের কিছু ঘটবে না বলে মন্তব্য করেছেন অগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ নেমেসিও পেরেজ।
কুমব্রে ভিয়েখা আগ্নেয়গিরিতে এক সপ্তাহের মধ্যে ২২ হাজারেরও বেশি ভূমিকম্প হওয়ার পর লা পালমা উচ্চ সতর্কাবস্থায় ছিল।
অগ্ন্যুৎপাতের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতির ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে রোববার রাতে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ লা পালমায় গিয়েছেন।