জেল পলাতক শেষ ২ ফিলিস্তিনিকেও ধরল ইসরায়েল

সুড়ঙ্গ খুড়ে ইসরায়েলের অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৬ ফিলিস্তিনির সর্বশেষ দুজনকেও ধরেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2021, 07:09 AM
Updated : 19 Sept 2021, 07:09 AM

রোববার স্থানীয় সময় ভোরের আগে দখলকৃত পশ্চিমতীরের জেনিন শহরের একটি বাড়ি থেকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের এই দুই সদস্যকে ধরা হয় বলে ইসরায়েলি পুলিশ কমিশনার ইয়াকুব শাবতাইয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সপ্তাহদুয়েক আগে ইসরায়েলের হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে ৬ বন্দির পালানোর ঘটনা ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থাকে বিব্রত করলেও ফিলিস্তিনিরা খুশি হয়েছিল।

১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে দখল হারানো পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্রের ভেতর দেখতে চাওয়া ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের কারাগারে আটক বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদেরকে ‘হিরো’ মনে করে।

ইসরায়েলি পুলিশের এক মুখপাত্র রোববার ধরা পড়া দুই ফিলিস্তিনির নাম আয়হাম নায়েফ কামামজি ও মুনাদেল ইয়াকুব ইনফেইয়াত বলে জানান।

৩৫ বছর বয়সী কামামজি ২০০৬ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন।

২৬ বছর বয়সী ইনফেইয়াত ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হন, জানিয়েছে প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজনার্স ক্লাব।

পলাতক বাকি ৪ জনকে জোড়ায় জোড়ায় উত্তর ইসরায়েলের আরব শহর নাজারেথের কাছ থেকে ধরা হয়েছিল। সুড়ঙ্গ খুড়ে পালানো এই ৬ জনের মধ্য কয়েকজন বিভিন্ন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত, অন্যরা ইসরায়েলে প্রাণঘাতী হামলা বা এর পরিকল্পনায় সন্দেহভাজন।

রোববার ভোরের আগে শহরে তল্লাশি চালানোর সময় জেনিনের বাসিন্দারা ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

ইসরায়েলি বাহিনী চারদিক থেকে ঘিরে ফেললে কামামজি ও ইনফেইয়াত আত্মসমর্পণ করেন। তাদের সহযোগিতা করা আরও দুই ফিলিস্তিনিকেও আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

এ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়েছে; অভিযানের সময় ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দিকে পাথর ও বিস্ফোরক ছুড়ে মেরেছিল এবং ইসরায়েলি বাহিনী শহরটি ছাড়ার সময় তাদের দিকে তাজা গুলিও ছোড়া হয় বলেও বিবৃতিতে দাবি করেছে তারা।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের একটি হাইসিকিউরিটি কারাগারের ৬ বন্দি তাদের সেলের ভেতর দিয়ে সুড়ঙ্গ কেটে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো ঘাটতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছিলেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

জেল পলাতক এই ৬ জনের সমর্থনে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনিরা।

ইসরায়েলের আরব সংখ্যালঘুরাও এই ৬ জনের পক্ষে কর্মসূচি করেছে। এ আরব সংখ্যালঘুরা প্রায়ই নিজেদের ফিলিস্তিনি বলে পরিচয় দেয়। রোববারও এই ছয় ফিলিস্তিনির সমর্থনে বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।