শনিবার ইরানের মিত্র গোষ্ঠীটি একথা জানিয়েছে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
২০১৮ সালে ইয়েমেনের পশ্চিম উপকূলীয় শহর হোদেইদাহে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলায় সামাদ তার ছয় দেহরক্ষীসহ নিহত হন। ওই সময় ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ পরিচালনা করা হুতি নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
সামাদ দীর্ঘ ছয় বছর ধরে চলা ইয়েমেনের যুদ্ধে জোট বাহিনীর হাতে নিহত সবচেয়ে ঊর্ধ্বতন হুতি নেতা।
হুতি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে এই নয় ব্যক্তি অভিযুক্ত ও দণ্ডিত হয়েছিলেন। তারা গুপ্তচরবৃত্তি ও স্পর্শকাতর তথ্য সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে জানিয়ে সামাদের মৃত্যুতে ভূমিকা রেখেছিলেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছিল।
রাজধানী সানায় সামাদের রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়স্বজন ও হুতি নেতাদের উপস্থিতিতে ফায়ারিং স্কোয়াডে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সৌদি জোটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর এডেনভিত্তিক সরকারের অনুগত বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধেও লড়াই করছে হুতিরা।
এডেনভিত্তিক ইয়েমেনের ওই সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে সৌদি জোট আর তারা সমর্থন পাচ্ছে পশ্চিমা শক্তিগুলোর।
হুতিরা তাদের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের হয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বলে অভিযোগ সৌদি আরব ও তাদের পারস্য উপসাগরীয় অধিকাংশ মিত্রের। তেহরান ও হুতিরা বরাবর এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।