শুক্রবার দেশটিতে দুই কোটি ২৬ লাখ লোককে করোনাভাইরাস টিকা দেওয়া হয়েছে যা গত মাসের দৈনিক গড়ের তিন গুণ বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
টিকাদানের এই মাইলফলককে মোদীর জন্মদিনের উপহার বলে মন্তব্য করেছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কিন্তু ৭১ বছরে পা দেওয়া ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এপ্রিল ও মে-তে দেশজুড়ে রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
“আজকের রেকর্ড টিকাদানের সংখ্যায় সব ভারতীয়ই গর্বিত হবে। কোভিড-১৯ কে পরাজিত করতে আসুন আমরা টিকাদান বৃদ্ধি অব্যাহত রাখি,” এক টুইটে বলেছেন মোদী।
এর আগে ৩১ অগাস্ট ভারতে সর্বোচ্চ এক কোটি ৪১ লাখ লোককে টিকা দেওয়া হয়েছিল আর সর্বশেষ ৩০ দিনে টিকা দেওয়ার দৈনিক গড় ৭০ লাখ ছিল।
বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) বিপুল পরিমাণ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা উৎপাদন করায় গত কয়েক সপ্তাহে ভারতে টিকাদান বেড়েছে।
দেশটির পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এসআইআই চলতি মাসে ভারতের টিকাদান কর্মসূচীতে ২০ কোটি ডোজ সরবরাহ করবে, যেখানে গত মাসে সংখ্যাটি ১৫ কোটি ডোজ ছিল।
এর পাশাপাশি ভারত বায়োটেক চলতি মাসে কোভ্যাক্সিন টিকার তিন কোটি পাঁচ লাখ ডোজ সরবরাহ করবে। এরপর আগামী মাসে ক্যাডিলা হেলথকেয়ার তাদের কোভিড-১৯ ডিএনএ টিকার এক কোটি ডোজ বিক্রি করে এই টিকাদান কর্মসূচীতে যুক্ত হবে।
এপ্রিলে কোভিড-১৯ টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। এখন দেশটির বছরে দুইশ কোটি ডোজেরও বেশি টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
১৩৫ কোটি জনসংখ্যার দেশটি ৭৯ কোটি ২০ লাখের বেশি ডোজ বিতরণ করেছে, যা চীনের পর সর্বাধিক।
ভারতের ৯৪ কোটি ৪০ লাখ পূর্ণবয়স্ক লোকের ৬২ শতাংশেরও বেশি টিকার অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন এবং প্রায় ২১ শতাংশ পেয়েছেন দুটি ডোজ। আগামী মাসের প্রর্থমার্ধের মধ্যে পূর্ণবয়স্ক সবাইকে অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে দেশটির সরকার।
ভারতে শনাক্ত করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা তিন কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৪৪ হাজার ২৪৮ জনের।