অকাস: যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠাল ফ্রান্স

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুন ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা জোট গঠনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ফ্রান্স এবার যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2021, 04:45 AM
Updated : 18 Sept 2021, 04:45 AM

পরিস্থিতির ‘ব্যতিক্রমী গুরুত্ব’ অনুযায়ীই ‘ব্যতিক্রমী এই সিদ্ধান্ত’ নেওয়া হয়েছে, বলেছেন ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মিত্র দেশ থেকে রাষ্ট্রদূত ডেকে পাঠানোর ঘটনা খুবই বিরল; ফ্রান্স এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূত ডেকে পাঠাল বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

অস্ট্রেলিয়া থেকে ফরাসী রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানোর ঘটনাও সম্ভবত এটাই প্রথম, বলছে বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নবগঠিত ‘অকাস’ জোটে যুক্তরাজ্যও আছে। দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে নতুন এই নিরাপত্তা জোট হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা একটি নিরাপত্তা চুক্তির আওতায় জোটের অংশীদার অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিধর সাবমেরিন বানানোর প্রযুক্তি সরবরাহ করবেন। এই পদক্ষেপ চীনের হুমকি মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই তাদের অনুমান।

ওয়াশিংটন ও লন্ডনের এই পদক্ষেপ চীনের পাশাপাশি ফ্রান্সকেও ব্যাপক ক্ষুব্ধ করেছে। নতুন ওই নিরাপত্তা চুক্তির কারণে ফ্রান্সের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সাবমেরিন নির্মাণ সংক্রান্ত হাজার হাজার কোটি ডলারের যে চুক্তি ছিল তা বাতিল হয়ে গেছে।

তাই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ফ্রান্সের পিঠে ছোরা বসানোর মত কাজ করেছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পূর্বসূরি ডনাল্ড ট্রাম্পের মতোই আচরণ করছেন জানিয়ে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এরকম নিষ্ঠুর, একতরফা ও হুটহাট সিদ্ধান্ত আমাকে ট্রাম্পের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।”

বুধবার বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ ত্রিপক্ষীয় জোটের ঘোষণা দেন। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ফ্রান্সকে নতুন জোটের কথা জানানো হয়। 

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-যুব লে দ্রিয়ান জানান, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর অনুরোধে দুই দেশ থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ফ্রান্সের পদক্ষেপে দুঃখ পেলেও আসছে দিনগুলোতে দুই দেশ নিজেদের মধ্যকার মতপার্থক্য কাটিয়ে উঠতে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা বাইডেন প্রশাসনের।