যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-অস্ট্রেলিয়ার নতুন নিরাপত্তা জোটের নিন্দায় চীন

চীনকে মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক নিরাপত্তা চুক্তির নিন্দা-সমালোচনা করেছে বেইজিং। তিন দেশের এই জোট ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ এবং ‘সংকীর্ণমনা’, বলছে চীন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2021, 04:40 PM
Updated : 16 Sept 2021, 04:40 PM

বুধবার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার নেতারা যৌথ এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ‘অকাস’ নামের ত্রিপক্ষীয় এই নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের ঘোষণা দিয়েছেন।

এর আওতায় অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরিতে প্রযুক্তি সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব মোকাবেলার চেষ্টাতেই তিন দেশ এই উদ্যোগ নিয়েছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। এই সাগর অঞ্চলটি বছরের পর বছর ধরে সংঘাতের ক্ষেত্র হয়ে আছে এবং উত্তেজনাও তুঙ্গে আছে।

বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, “নতুন জোট গঠনের ঘোষণা আঞ্চলিক শান্তি মারাত্মকভাবে বিনষ্ট করা… এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।”

জোট গঠনের এই পদক্ষেপকে তিনি সেই পুরোনো যুগের স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা আখ্যা দেন এবং তিন দেশ নিজেদেরই স্বার্থ ক্ষুন্ন করছে বলে সতর্ক করে দেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোর সম্পাদকীয়তেও এই নিরাপত্তা জোটের নিন্দা করা হয়েছে। চীনের গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা বলেছে, “অস্ট্রেলিয়া এখন নিজে থেকেই চীনের শত্রুতে পরিণত হল।”

জোট গঠনের চুক্তিতে তিন দেশের নেতারা সরাসরি চীনের নাম না নিলেও বারবারই আঞ্চলিক হুমকি নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, “এই হুমকি গুরুতর হয়ে উঠছে।”

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সমমনা মিত্র ও অংশীদারদের নিয়ে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অভিন্ন মূল্যবোধের সুরক্ষা, নিরাপত্তা বিধান ও সমৃদ্ধি বয়ে আনতে এই জোট তিন দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক সুযোগ সৃষ্টি করেছে।”

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এই অকাস জোটই সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, বলছেন বিশ্লেষকরা।