কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া

উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2021, 02:47 PM
Updated : 15 Sept 2021, 02:47 PM

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পরমাণু আলোচনা থমকে থাকার এই সময়ে দুই দেশের এই পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কোরিয়া উপদ্বীপে অস্ত্র প্রতিযোগিতাকেই সামনে নিয়ে এল।

উত্তর কোরিয়া বুধবার পূর্ব উপকূলে জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ছয়মাসের মধ্যে প্রথম দু’টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।

 উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থেকে সরাতে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যে পিয়ংইয়ং ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়।

আর এর কয়েকঘণ্টা পরই দক্ষিণ কোরিয়া প্রথমবারের মতো সাবমেরিন থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।

বিবিসি জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার এই এসএলবিএম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল। উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পাল্টায় তা ছোড়া হয়নি।

এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের সপ্তম রাষ্ট্র হিসেবে এমন সামরিক প্রযুক্তির জগতে প্রবেশ  করছে।

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। তিনি বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়ার এখন যে কোনও সময়ই উত্তর কোরিয়ার উস্কানি থেকে নিজেদের সুরক্ষার যথেষ্ট ব্যবস্থা আছে।”

ছবি: টুইটার

উত্তর কোরিয়ার অসম শক্তিকে অতিক্রম করে যাওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে অস্ত্র কর্মসূচি আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান মুন জে-ইন।

ওদিকে, উত্তর কোরিয়া বুধবার ব্যালিস্টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার দুইদিন আগেই দূর পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। পরপর এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থেকে এই ইঙ্গিতই মিলছে যে, উত্তর কোরিয়া অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধে্যও অস্ত্র উন্নয়ন করে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর কোরিয়া প্রযুক্তি উন্নয়নে এমন পরীক্ষা চালায় এবং একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় সুবিধা লাভের চেষ্টা করে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা না হলেও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী বোমা বহনে সক্ষম এবং দ্রুতই অনেক দূরে যেতে পারে। তাই এ ক্ষেপণস্ত্রকে বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়।

উত্তর কোরিয়া খাদ্য ঘাটতি ও তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আছে, এর মধ্যেও তারা কীভাবে অস্ত্র উৎপাদন করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।