নারী অধিকারকে সম্মান দিন: তালেবানকে কাতার

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরাহমান আল-থানি বলেছেন, আফগান নারীদের অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে আফগানিস্তানের নতুন তালেবান শাসকদেরকে আহ্বান জানাচ্ছে তার দেশ।

>>রয়টার্স
Published : 13 Sept 2021, 03:57 PM
Updated : 14 Sept 2021, 03:59 AM

তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করার সময় এখনও আসেনি বলেও সোমবার জানিয়েছেন আব্দুলরাহমান আল-থানি।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ ইভ লা দ্রিয়াঁরসঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে থানি একথা বলেন। লা দ্রিয়াঁ জানান, আফগানিস্তানে এখনও অনেক ফরাসি নাগরিক রয়ে গেছে এবং কাতার তাদেরকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে।

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থানি বলেন, “আমরা সবসময় তালেবান এবং সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি। গতকালও আমরা একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছি। নারী অধিকার এবং আফগানিস্তানের উন্নয়নে তাদের ভূমিকাসহ আফগান জনগণের অর্জনের সুরক্ষা করতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা তাদেরকে ইসলামিক শাসনব্যবস্থার দেশ কাতারসহ বহু মুসলিম দেশের উদাহরণ দিয়েছি, যেখানে নারীরা পূর্ণ অধিকার ভোগ করছে।”

আফগানিস্তানে ১৯৯৬-২০০১ সালের প্রথম তালেবান শাসনামলে নারী অধিকারে অত্যন্ত কড়াকড়ি আরোপ করেছিল তালেবান। নারীদেরকে শিক্ষা এবং কা থেকে নিষিদ্ধ করেছিল তারা।

গত মাসে আফগানিস্তানে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকার পতনের মধ্য দিয়ে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর তারা আবার সেই অতীতের মতো কড়াকড়ি আরোপ করতে পারে বলে শঙ্কা আছে।

পূর্ণ রাজতান্ত্রিক দেশ কাতার, যেখানে রাজনৈতিক দলও নিষিদ্ধ, সেখানেও নারীদের প্রতি অবস্থান নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য অধিকার সংগঠনগুলো সমালোচনা করে আসছে। কাতারে নারীদের কিছুটা স্বাধীনতা থাকলেও বিয়ে, ভ্রমণসহ অনেক ক্ষেত্রেই তারা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না এবং কিছু ক্ষেত্রে পুরুষ অভিভাবকের অনুমতিও প্রয়োজন হয়।

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরাহমান আল-থানি রোববার কাবুলে তালেবান সরকারের প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি বলেন, তালেবান কাতারের কর্মকর্তাদেরকে বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে চায় এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া দূতাবাসগুলো খুলতে চায়।

কাতার এবং ফ্রান্সের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীই বলেছেন, তালেবান তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে কিনা তা দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অপেক্ষা করে আছে। কাবুলের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে আলোচনা এখনই নয়।

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এ মুহূর্তে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার ওপর জোর দেওয়াটা কারও জন্যই সহায়ক হবে বলে আমরা মনে করি না।”