হংকংয়ে তিয়ানআনমেন জাদুঘরে পুলিশের তল্লাশি

তিন দশকেরও বেশি সময় আগে তিয়ানআনমেন স্কয়ারে হওয়া ‘দমনপীড়ন’ স্মরণে হংকংয়ে স্থাপিত একটি জাদুঘরে তল্লাশি চালিয়েছে চীন নিয়ন্ত্রিত শহরটির পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2021, 10:02 AM
Updated : 10 Sept 2021, 10:02 AM

নিরাপত্তা কর্মকর্তাদেরকে বৃহস্পতিবার ‘জুন ৪ মিউজিয়ামে’ প্রদর্শনীর জন্য রাখা অনেক জিনিস সরিয়েও নিতে দেখা যায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।  

জাদুঘরটি পরিচালনা করত হংকং অ্যালায়েন্স নামের একটি গোষ্ঠী। গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের সুপরিচিত কর্মী ব্যারিস্টার চোও হাং তুং গোষ্ঠীটির ৪ সদস্যকে বুধবারই জাতীয় নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয়েছিল।

বিতর্কিত এই নিরাপত্তা আইনে দোষী সাব্যস্তদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।

হংকং অ্যালায়েন্স প্রতিবছরই চীন নিয়ন্ত্রিত শহরটিতে ১৯৮৯ সালে তিয়ানআনমেন স্কয়ারে ‘হতাহতদের’ স্মরণে কর্মসূচি পালন করে আসছে।

তাদের পরিচালিত জাদুঘরটি জুনে বন্ধ করে দিয়েছিলেন হংকংয়ের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার সেখানে তল্লাশি চালায় নবগঠিত ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইউনিট।

কর্মকর্তারা পরে জাদুঘর থেকে যেসব জিনিস সরান, তার মধ্যে ১৯৮৯ সালে বেইজিংয়ে গণতন্ত্রপন্থি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অন্যতম প্রতীক ‘গণতন্ত্রের দেবীর’ একটি কাগজের মডেলও আছে।

তিয়ানআনমেনে হতাহতদের স্মরণে হওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির ছবিও জাদুঘর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইউনিট এর আগে হংকং অ্যালায়েন্সের কাছে প্রতিষ্ঠার পর থেকে তাদের সব সদস্যের ব্যক্তিগত তথ্য, আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিল।

মঙ্গলবার ছিল ওই তথ্য দেওয়ার শেষদিন, সেদিন এক চিঠিতে অ্যালায়েন্সের সদস্যরা ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইউনিটকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হবে না বলে জানায়।

পরদিন সকালে পুলিশ কর্মকর্তারা অ্যালায়েন্সের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের আটক করেন।

পুলিশের অভিযোগ হংকং অ্যালায়েন্সের এ সদস্যরা ‘বিদেশি চর’। আটককৃতরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।

চলতি বছরের শুরুতেও অননুমোদিত সমাবেশে ‍উৎসাহিত দেওয়া অভিযোগে চোও-কে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছিল, তিনি পরে জামিনে ছাড়া পান।

জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার বিরোধী এক রাজনীতিকের জামিন শুনানিতে বুধবার তার পক্ষে লড়ার কথা ছিল চোও-এর; কিন্তু আদালতে আসার আগেই এ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিরোধীদের দমনের উদ্দেশ্যেই চীন হংকংয়ের ওপর এই বিতর্কিত জাতীয় আইন চাপিয়ে দিয়েছে বলে ভাষ্য সমালোচকদের।

অন্যদিকে বেইজিং বলছে, হংকংয়ে স্থিতিশীলতার লক্ষ্যেই তারা এই আইনটি করেছে।