কাবুল বিমানবন্দরে ধেয়ে আসা ‘একাধিক রকেট প্রতিহত’

কাবুল বিমানবন্দরের দিকে ধেয়ে আসা অন্তত ৫টি রকেটকে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা নিস্ক্রিয় করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2021, 05:44 AM
Updated : 30 August 2021, 05:44 AM

শহরটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের একেবারে শেষ পর্যায়ে রকেট হামলার এই ঘটনা ঘটল।

সোমবার স্থানীয় সময় সকালে এ রকেট হামলা হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

যত রকেট উড়ে এসেছে, তার সবই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা নিস্ক্রিয় করতে পেরেছে কিনা, তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এখন পর্যন্ত রকেট হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কেউ হতাহত হয়নি বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে; তবে পরে এই তথ্য বদলেও যেতে পারে, বলেছেন ওই কর্মকর্তা।

হোয়াইট হাউসও কাবুল বিমানবন্দরে রকেট হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। বিষয়টি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দরের কার্যক্রম ‘নির্বিঘ্নেই চলছে’ বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি।

এর আগে রোববার মার্কিন বাহিনী কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনা করা এক ব্যক্তির গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল।

কাবুল বিমানবন্দরে ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে বাইডেন শনিবার সতর্ক করেছিলেন।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সহযোগী আইএসএস-কে বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালানোর সুযোগ খুঁজছে বলে আগেও কর্মকর্তারা সাবধান করেছিলেন। এ ধরনের হামলা মোকাবেলায় মার্কিন বাহিনী প্রস্তুত ছিল। ইরাকের অভিজ্ঞতায় তারা বিমানবন্দর ও এর আশপাশে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা সচল রেখেছিল।

“আমরা জানি তারা রকেট ছুড়তে চায়, যদি তারা পারেও আমাদের এখন এর বিরুদ্ধে ভালো সুরক্ষা ব্যবস্থা আছে। আছে রকেট বিধ্বংসী ও মর্টার ব্যবস্থাপনা,” কয়েকদিন আগে এমনটাই বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্র্যাঙ্ক ম্যাককেনজি।

রকেটের চেয়েও যুক্তরাষ্ট্র বাহিনী আত্মঘাতী বোমা হামলা নিয়ে বেশি চিন্তিত বলে এর কর্মকর্তাদের ভাষ্যে বোঝা যাচ্ছে।

কয়েকদিন আগেই কাবুল বিমানবন্দরের কাছে এক আত্মঘাতী হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ দুইশ’র কাছাকাছি মানুষের প্রাণ গেছে।