রয়টার্স জানায়, আইএস এর আমাক বার্তা সংস্থা বৃহস্পতিবার তাদের এক টেলিগ্রাম চ্যানেলে হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ইসলামিক এই দলটির এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী কাবুল বিমানবন্দরের কাছে ‘ব্যারন ক্যাম্প’- এ মার্কিন সেনাবাহিনী ও তাদের হয়ে কাজ করা আফগান এবং দোভাষীদের ভিড়ে ঢুকে যেতে সক্ষম হয়েছে। এরপরই তাদের মধ্যে বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটায় সে।
এতে প্রায় ৬০ জন নিহত এবং তালেবান যোদ্ধাসহ অন্যান্য আরও ১শ জন আহত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে আইএস এর বিবৃতিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এর আগে ধারণা করে বলেছিলেন, ইসলামিক স্টেটের খোরাসান গ্রুপ (আইএসআইএস-কে) এর পেছনে থাকতে পারে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা এও বলছেন যে, আঞ্চলিক আইএস জঙ্গিরাও এই হামলার পেছনে আছে বলে ধারণা করছেন তারা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাবুলে বিমানবন্দরের কাছে ব্যারন হোটেলের গেইটে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে। সেখানে গোলাগুলিও হয়। তার পরপরই বিমানবন্দরের অ্যাবি গেইটের কাছে ভিড়ের মধ্যে ঘটে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ। বিমানবন্দরের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তালেবান যোদ্ধারাও বিস্ফোরণে আহত হয়।
১১ দিন আগে তালেবানের হাতে কাবুলের পতন হওয়ার পর এই হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েই ৮২ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিদেশিদের পাশাপাশি আফগানরাও রয়েছেন তাদের মধ্যে।
৩১ অগাস্টের চূড়ান্ত সময়সীমার মধ্যে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য তোড়জোড় করছে পশ্চিমা দেশগুলো। দেশ ছাড়ার চেষ্টায় হাজার হাজার আফগানও মরিয়া হয়ে বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাইরে অপেক্ষা করছেন প্রতিদিন।
সেই লোকজনের ভিড়ের মধ্যে বোমা হামলাকারীরা কিভাবে এমন হামলা চালাতে পারল তা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এক মার্কিন জেনারেল ম্যাকেনজি তালেবানকে দোষারোপ করে বলেছেন, “তারা যে বিমানবন্দরের বাইরে লোকজনকে তল্লাশি করতে ব্যর্থ হয়েছে তা স্পষ্ট।”
তবে তালেবান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাতেই এই জোড়া বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণে ১২ মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে বিবিসি।